লিহান লিমা: [২] সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে বিটকয়েন, ডোগিকয়েন ও অন্যান্য ডিজিটাল মুদ্রার দর, ৪০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। ক্রিপ্টোরেন্সির এই দরপতনের পেছনে অন্যান্য অনেক কারণের মধ্যে রয়েছেন টেসলার স্বত্বাধীকারি ইলন মাস্ক। সিএনএন
[৩] জনপ্রিয় মার্কিন শো ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’ এ এসে তিনি মজা করে বলেন, ডোগিকয়েন একটি ‘ঝামেলা’। এর আগে বিটকয়েন নিয়ে বলেছেন, এটি পরিবেশের জন্য মোটেও ভালো কিছু নয়। টেসলা এখন থেকে আর বিটকয়েন লেনদেন করবে না। টুইটেও ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে নিজের নেতিবাচক মনোভাব তুলে ধরেছেন তিনি। এর ফলে বিটকয়েট ও ডিগোকয়েনসহ সব ডিজিটাল মুদ্রার দরে প্রভাব পড়ে। ডিজিটার মুদ্রার মূল্যহ্রাস গত কয়েক বছরের ইতিহাসে রেকর্ড করে।
[৪]আবার সোমবার এক টুইটে বলেছেন, ‘বিটকয়েন মাইনাররা নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন, সম্ভবত ভালো কিছু আশা করা যাচ্ছে।’ মাস্কের সর্বশেষ টুইটের পর বিটকয়েনের দর ৪ শতাংশ বেড়েছে।
[৫] মাস্কের এই আচরণে বিরক্ত ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিয়োগকারীরা বলছেন, তার উচিত টুইট বন্ধ করে গাড়ি বানানোর দিকে মনোযোগ দেয়া। ক্রিপ্টোকারেন্সি পরামর্শক ও বিনিয়োগকারী এলোসা মার্সেসোনি বলেন, ‘মাস্ক খুবই বৈষয়িক। তার বোঝা উচিত মানুষ ক্ষুদ্ধ।’ ক্রিপ্টো প্ল্যাটফর্ম সেলসিয়াস এর সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্স মাসিনস্কে বলেন, ‘যারা মাস্ককে অন্ধভাবে অনুসরণ করছেন তারা অনেক টাকা খুইয়েছেন। তাদের ওপর যে বোঝা চেপেছে তা থেকে তারা সহজে উত্তরণ পাবেন না।’