ইমরুল শাহেদ: অনেকের ধারণা ছিল শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান শুধু পরিচালক সমিতির নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্যই একশ’ ছবির ঘোষণা দিয়েছিল। ঘোষণার পর দশটি ছবির কাজও শুরু হয়ে যায়। এরপর নানা কারণে ছবির গুলোর কাজে ভাটা পড়ে। অনেকে হতাশ হয়ে বলাবলি শুরু করেন, আসলে এই দশটিতেই প্রযোজকের কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে। অসমাপ্ত ছবিগুলোর কাজও আর শেষ হবে না। কিন্তু ঈদের পরপরই ছবিগুলোর কাজ যথারীতি আবার শুরু হয়ে গেছে।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ‘হৃদ মাজারে তুমি’ ছবির অসমাপ্ত কাজ পূবাইল লোকেশনে আবার শুরু করেছেন। শেষ হওয়া ছবিগুলোর ডাবিংয়ের কাজও ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বিপাশা কবীর ডাবিং করছেন রেজা হাসমত পরিচালিত ‘জিদ্দি মেয়ে’ ছবির। অর্থাৎ প্রথম ধাপে শুরু হওয়া দশটি ছবির কাজ দ্রুতই এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। একজন পরিচালক জানান, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে তার নতুন ছবিটির কাজ শুরু হবে। অপর একজন পরিচালক বলেন, প্রথম ধাপের ছবিগুলো গুটিয়ে নিয়ে দ্বিতীয় ধাপের ছবিগুলোর কাজ শুরু হয়ে যাবে। তবে এফডিসিতে এই একশ’ ছবির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যে প্রোডাকশন হাউজটি নেওয়া হয়েছে, সেটি এখনো মুখরিত হয়নি।
সেখানে লোকজমায়েত শুরু হলেই বুঝা যাবে নতুন ছবির তোড়জোড় চলছে। পরিচালক সায়মন তারেক বলেন, কাজ করতে গেলে আলোচনা-সমালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, পরিচালক সমিতির নির্বাচনে যারা ভোট দিতে আসেননি, বা যারা সোহান-শাহীন প্যানেলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করেছেন তাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে একশ’ ছবির তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। পরিচালক সারোয়ার বলেছেন, অন্য প্যানেল থেকে নির্বাচন করায় আমি একজনের তালিকা থেকে বাদ পড়েছি। এফআই মানিক বলেন, অসুস্থতার কারণে তিনি ভোট দিতে আসতে পারেননি। এজন্য চূড়ান্ত হওয়া ছবি থেকে আমি বাদ পড়েছি।’