শরীফ শাওন: [২] প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্তণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সময় নির্ভর করে। তবে এপর্যন্ত সময় পেছানোর কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। খোলার আনুষাঙ্গিক প্রস্তুতি রয়েছে বিদ্যালয়গুলোর।
[৩] শনিবার জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ৩ লাখের অধিক শিক্ষককে করোনা ভাইরাসের টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। তবে বন্ধকালীন সময় শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রাখতে অনলাইন ও গুগলের মাধ্যমে পাঠদানসহ শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
[৪] মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক বেলাল হোসেন জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা নিয়েই ঈদের আগে আমরা চিঠি দিয়েছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিস্কার করার বিষয়ে ওয়ার্কসপ করে গাইডলাইন তৈরি করে দিয়েছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এ বিষয়ে প্রস্তুত রয়েছে।
[৫] টিকাদানের বিষয়ে জানান, ৪০ উর্দ্ধোদের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি শিক্ষকদের টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে, কোন কোন স্থানে তা শতভাগ। যাদের বয়স ৪০ এর নিচে তাদের ভ্যাকসিন রেজিষ্ট্রেশনে কিছু কিছু স্থানে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এসকল বিষয় সমাধানের কাজ চলছে।
[৬] এর আগে করোনা সংক্রমণে গত বছর ২৬ এপ্রিল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ধাপে ধাপে পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছর ২৯ মে পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।