শিরোনাম
◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয় ◈ কত টাকার বিনিময়ে মানববন্ধনে এসেছেন তারা, এদের পরিচয় কী? আরো যা জানাগেল (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২১ মে, ২০২১, ০৫:০৪ বিকাল
আপডেট : ২১ মে, ২০২১, ০৫:০৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] টাঙ্গাইলে এই প্রথম চাষ হলো হলুদ জাতের তরমুজ

আরমান কবীর : [২] টাঙ্গাইলে এই প্রথম চাষ হলো বিদেশি জাতের হলুদ জাতের তরমুজ। জেলার কালিহাতী উপজেলা বড় ইছাপুর গ্রামে জমি লিজ নিয়ে হলুদ ও কালো রঙের তরমুজ আবাদ করে লাভবান হয়েছে সামিউল ইসলাম। দীর্ঘ দিনের করোনা ও লকডাউনে ঢাকায় নিজের মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা গুটিয়ে চলে আসে নিজ এলাকায়। বসে না থেকে গ্রামেই নিজেকে স্বাবলম্বি করতে জমি লিজ নিয়ে প্রথমে চাষ করেন বিভিন্ন ধরনের সবজি।

[৩] পরে তিনি বিদেশি জাতের হলুদ ও কালো তরমুজ চাষে আগ্রহী হন। সামিউলের দাবি সরকারি সহযোগিতা পেলে আরও বেশি ফলপ্রসু হবে তার এই উদ্যোগ।হলুদ ও কালো তরমুজ মিষ্টি বেশি হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। বর্তমানে হলুদ জাতের তরমুজ কেজি প্রতি ৬০ টাকা ও কালো জাতের তরমুজ কেজি প্রতি ৫০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। হলুদ জাতের তরমুজ ওজনে সর্বোচ্চ আড়াই কেজি হয় আর কালো জাতের তরমুজ হয় সর্বোচ্চ ৪ কেজি। এই দুই জাতের তরমুজের চামড়া পাতলা হওয়ায় ভেতরে আশেঁর পরিমাণও বেশি থাকে । শুধু তরমুজ না তার পাশাপাশি শসা, কাঁচামরিচ, পেঁপে ও ক্যাপসিক্যামও আবাদ করেছেন সামিউল।

[৪] এ প্রসঙ্গে সামিউল ইসলাম বলেন, বিএডিসি থেকে বীজ সংগ্রহ করে বিদেশি জাতের সবজি ও ফল আবাদ শুরু করেন। দীর্ঘদিন নানা জাতের ফল আবাদ করলেও এবার তরমুজ চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন তিনি। এ বছর তরমুজের বাজারমূল্য ভালো। তাই বিক্রিও ভালোই হচ্ছে।

[৫] তিনি আরো বলেন,এই জাতের তরমুজ আবাদ সম্পর্কে যদি আরও উদ্যোক্তাদের জানানো হয় তাহলে জেলায় আরও বেশি আবাদ হবে এই জাতের তরমুজের ।এর পাশাপাশি সরকারি সহযোগিতা পেলে বাজারজাত করন আরো সহজ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

[৬] সামিউলের মা আসমা বেগম জানান, সামিউলের বাবার মৃত্যুর পর তার সংসার চালাতে খুব কষ্ট হতো। এত কষ্টের মাঝেও ছেলে পড়া-লেখার পাশাপাশি মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ করত। করোনার কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেকার বসে না থেকে ফল ও সবজি চাষ শুরু করে সামিউল। প্রথমে হতাশায় পড়লেও এবার অনেক সুস্বাদু জাতের তরমুজ আবাদ করে বেশ লাভবান হয়েছে তার পরিবার। শুধু তরমুজই না এর পাশাপাশি অন্যান্য সবজি আবাদ করে তা বিক্রি করে যা আয় হয় তাই দিয়েই তাদের পরিবার স্বচ্ছল ভাবে চলছে।

[৭] বড় ইচ্ছাপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, সামিউলের ভিন্ন জাতের তরমুজের কথা শুনে তিনি ক্ষেতে গিয়ে কিনে খেয়েছেন। অন্য তরমুজের তুলনায় এই তরমুজের স্বাদ ও মিষ্টি অনেক বেশি। আকারে ছোট হওয়ায় দাম কিছুটা কম পড়ে বলে তিনি জানান।

[৮] টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. আবুল বাশার বলেন, সামিউল তরমুজই আবাদ করবে, অন্য কোনো ফল আবাদ করার প্রতি তার আগ্রহ নেই। তাই কৃষি বিভাগ তাকে তরমুজ চাষের পরামর্শ দেয়। সামিউল যখন তরমুজ চাষ শুরু করে তখন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শন করা হয়। তার ক্ষেতের ফলন দেখে বোঝা যায়, প্রতি হেক্টরে ৪০ থেকে ৫০ টন তরমুজ সেখান থেকে উৎপাদন করা সম্ভব। এবার গরম আবহাওযার কারনে তরমুজের চাহিদা অনেক বেশী। তাই সামিউল দাম ভালোই পাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান। সম্পাদনা: সাদেক আলী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়