শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০২১, ০৬:৩৪ বিকাল
আপডেট : ২০ মে, ২০২১, ০৬:৩৪ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্বজিৎ দত্ত: ইসরাইল ও হামাস সংঘর্ষ হয়তো দুই দেশেরই সরকার গড়ার সমঝোতার অংশ

বিশ্বজিৎ দত্ত: ১৫ বছর আগে ২০০৬ সালে প্যালেস্টাইনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ি হয়ে হামাস মুভমেন্টের নেতা ইসমাইল হানিয়া ঘোষণা করেছিলেন, আমার আহারের জন্য জলপাই তেল আর শোবার জন্য শুকনু ঘাসের শয্যাই যথেষ্ট। কথা তিনি রাখেননি। ২০০৭ সালে ফাতাহ মুভমেন্টের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে হামাস। প্যালেস্টাইনের রাজপথ ফাতাহ আর হামাসের সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়ে উঠে। কয়েক শত প্যালেস্টাইনি মারা যান। গাজা উপতক্যাকে নিজেদের এলাকা বলে ঘোষণা করে। প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের বাহিনীকে জোর করে বের করে দেয়া হয় গাজা থেকে। হামাস গড়ে তুলে নিজস্ব বাহিনী, নিজস্ব প্রশাসন, কর ব্যবস্থা এমনকি গাজার নাগরিকদের মিশরের সঙ্গে যাতায়াতেও আরোপ করা হয় কর। এই ব্যবস্থাকে গাজায় বলা হয় ফাস্ট্রট্রেক ট্রাভেল। হানিয়ার ৩ পুত্র এই ফাস্ট্রট্রেক ট্রাভেলের নিয়ন্ত্রক।

গাজার এই সরকারকে অর্থ, অস্ত্র ও আশ্রয় দিয়ে সহযোগীতা করছে কাতার, ইরান ও তুরস্ক। সূত্র এপি। সংবাদ মাধ্যমটি জানায় হামাসের শীর্ষ নেতারা বসবাস করছেন কাতারের সবচেয়ে অভিজাত এলাকার এ্যাপার্টমেন্টে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছবিতে দেখা গেছে হানিয়া সকার খেলছেন কাতারের একটি বিলাসবহুল এলাকায়। এই পর্যন্ত ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট আব্বাস সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন প্যালেস্টাইনে সাধারণ নির্বাচন দিবেন। আগামী বসন্তেই অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এবার হামাস গাজার বাইরে আবারো প্যালেস্টাইনের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্যালেস্টাইন সেন্টার ফর পলিসির জরিপে উঠে আসে নির্বাচন হলে আব্বাসের দল ভোট পাবে ৩৪ শতাংশ। আর হামাস পাবে ৩৮ শতাংশ। বিষয়টি আব্বসকে যেমন বিচলিত করেছে তেমনি ইসরাইলকেও শংকিত করেছে। ইসরাইলে লিকুদ পার্টির প্রধান নেতানিয়াহু নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। দুই বছরে ৪ বার সরকার গঠনে ব্যার্থ হয়েছেন নিয়াহু। ইসরাইলের ইসলামপন্থী দল রামের নেতা মনসুর আব্বাস অনেকটাই ঘনিষ্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে। আগামী ২ জুন নিয়াহুকে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। এক্ষেত্রে রামের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে লিকুদ পার্টি সরকার গঠন করতে পারে। হামাস বিরোধী এই ইসরাইলি মুসলীম নেতা গাজায় হামাস ধ্বংসের কারণে হয়তো আগামীতে নিয়াহুকেই সমর্থন করবেন।আবার প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও আগামী নির্বাচনে ইসরাইলের হাতে ধ্বংস হওয়া হামাসকে পরাজিত করতে পারবেন সহজেই। আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সাম্প্রতিক ইসরাইলি সম্পর্ক ও প্যালেস্টাইনের মাহমুদ আব্বাসের শান্তি প্রক্রিয়ার কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে ইসরাইলের এই হামাস বিরোধী যুদ্ধ হয়তো সমঝোতার একটি প্রাথমিক প্রচেষ্টা। তাই অনেকেই আশা করছেন এই যুদ্ধের সমাপ্তির পর আরব ও ইসরাইলের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থা ফিরে আসতে পারে। জেরুজালেম ভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মিশেল বারাক বলেছেন, এখন পর্যন্ত যা ঘটছে যা নেতানিয়াহু চাচ্ছেন। একইভাবে আমিরাতের প্রধান ধর্মিয় নেতা ওয়াসিম ইউসুফও টুইটে বলেছেন, হামাস সাধারণ নাগরিকদের আবাসস্থলে রকেট হামলা করেছে। তার প্রত্যাঘাত এলে বলছে আরবরা মুসলিমরা তোমরা কোথায়। হামাস নিরাপরাধ মানুষ শিশুদের জন্য গাজাকে একটি কবরস্থানে পরিণত করেছে। আরব দেশগুলোর কিছু অংশের মধ্যে একটি হ্যাশট্যাগ ঘোরাঘুরি করছে প্যালেস্টাইন ইজ নট মাই জব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়