আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] নিজ স্বার্থ সমুন্নত রেখে, ঢাকাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে, দ্য ডিপ্লোম্যাটের প্রতিবেদন।
[৩] বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের অনানুষ্ঠানিক জোট কোয়াড নিয়ে নিজেদের শঙ্কা প্রকাশ করে আসছে চীন। সম্প্রতি এই জোটে বাংলাদেশ যোগ দেবে কী না, সে প্রশ্নে চীনের অস্থিরতা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত রীতিমতো বাংলাদেশকে হুমকিই দিয়ে বসেছেন। অথচ, এই জোটে বাংলাদেশ যোগ দিয়েছে বা দেবে এ ধরণের কোনও কথাই বলা হয়নি। তবুও লি জিমিং তার বক্তব্য রেখেছেন।
[৪] লি এর বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে প্রায় একই কথা বলেছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইসও প্রায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
[৫] চলতি বছরের ২০ মার্চ কোয়াড সদস্যদেশের কর্মকর্তারা একটি ভার্চুয়াল সভা করেন। এতে যোগ দেন দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ভিয়েতনামের কর্মকর্তারা। বএরপরেই কোয়াড প্লাসের ধারণা উঠে আসে। বাংলাদেশ এই আলোচনায় ছিলো না। তবুও এই ৩ দেশের চেয়ে ভূ-রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশের নামই বারবার উঠে আসছে।
[৬] চীন এই কোয়াড প্লাসের ধারণা কাটাতে বদ্ধ পরিকর। এজন্য শুরুতেই তারা বাংলাদেশকে চাপে ফেলার নীতি নিয়েছে। বাংলাদেশ এখনও সফলভাবে তা অগ্রাহ্য করতে পেরেছে। চীন বাংলাদেশের কৌশলগত সহযোগী নয়, উন্নয়ন সহযোগী। তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের স্পষ্ট পক্ষপাত, ঢাকা প্রায়শই ভালো চোখে নেয় না। চীনের ভয় এখানেই। তবে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত কি করবে, সে সিদ্ধান্ত তাদেরই নিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :