শরীফ শাওন: [২] শিক্ষার্থীদের পক্ষে এস এম রাসেল সিদ্দিকি বলেন, এ বছর মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় সহস্রাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর যে নম্বর প্রত্যাশা করেছিলেন তার চেয়ে পাওয়া ফলে রয়েছে ব্যাপক ব্যবধান। নম্বর কর্তন-বন্টন ও কোটা নিয়ে রয়েছে অসঙ্গতি।
[৩] সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় পাঠ্য বই বহির্ভূত কোনো প্রশ্ন করা হয় না। তাই অনুমিত ফল ও প্রত্যাশিত ফলের ব্যবধান ৩ থেকে ৫ নম্বর হওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু তা কখনোই ১৫ থেকে ২০ হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
[৪] প্রশ্ন প্রণয়নেও অসঙ্গতি দেখা গেছে। যেখানে তিনটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর নেই এবং দু’টি প্রশ্নের একাধিক সঠিক উত্তর। এটা প্রশ্নপত্র প্রণয়নের কোন নীতিমালার অধীনে পড়ে তা আমরা জানতে চাই।
[৫] মেডিক্যালে ভর্তি থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বার আবার মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে নিয়ম অনুযায়ী ৭ দশমিক ৫ নম্বর কাটার কথা। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে তা হয়নি। শুধুমাত্র ৫ নম্বর কেটে ২ দশমিক ৫ নম্বর বেশি দিয়ে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম বার মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও অনেকের ৫ নম্বর অতিরিক্ত কর্তন করা হয়েছে। উপজাতি কোটায় দুর্নীতি নিয়ে ইতোমধ্যেই উপজাতি পরিষদ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
[৬] ফল সমাধানের তিন দাবি উল্লেখ করে বলেন, অসঙ্গতির শিকার পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র স্বচ্ছতার সঙ্গে পুনরায় যাচাই, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের উত্তরমালা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ ও ইতোমধ্যে যে ফল প্রকাশিত হয়েছে তা বাতিল পূর্বক পুনরায় ফল মেধাক্রমে প্রকাশ।
আপনার মতামত লিখুন :