আবুল কালাম:[২] নিখোঁজের দুই দিন পর পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার ফেছুয়ান গ্রামের ইছামতি নদী থেকে কানিজ ফাতেমা(১৯) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী রাকিবুল ইসলাম (২৪)কে আটক করেছে পুলিশ।
[৩] নিহত কানিজ ফাতেমার বেড়া পৌর এলাকার শম্ভু গ্রামের মোঃ আব্দুল কাদের মেয়ে।শনিবার সকালে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ঘটনা সতত্যা নিশ্চিত করে জানান, দুই বছর আগে সাঁথিয়া ফেছুয়ান গ্রামের চাঁদু শেখের ছেলে রাকিবুলের সাথে বিয়ে হয় কানিজ ফাতেমার।
[৪] বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। গত ২ দিন আগে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে কানিজ ফাতিমাকে তার বাড়ি থেকে বেড়ানোর কথা বলে কৌশলে সাঁথিয়ার করমজা এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় স্বামী রাকিবুল।
[৫] পরে সে কানিজকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ইছামতি নদীর কচুরিপানার মধ্যে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বেড়া থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ স্বামী রাকিবুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যা'র ঘটনা স্বীকার করে। পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ার জন্যই স্ত্রীকে হত্যা করেছে রাকিবুল।
[৬] এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বেড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। কানিছ'র ভাই ফরিদ জানান, বিয়ের সময় সাড়ে ৫লাখ টাকা যৌতুক নেয় রাকিবুলের পরিবার। বিয়ের পরেও বিভিন্ন সময় টাকার জন্য নির্যাতন করতো রাকিবুলের পরিবার। এছাড়াও তার অন্য মেয়ের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এই কারণে আমার বোনকে হত্যা করেছে।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন