কামাল হোসেন: [২] রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে জমি-জমার বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তুষার (১৭) নামের এক কিশোর খুন হয়েছে। সে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বিশ্বনাথ পাড়ার আসলাম শেখের ছেলে। শনিবার সকাল সারে ৯ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। তুষার গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্র।
[৩] পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত চাচাতো ভাই বাঁধন শেখ এবং তার মা ফেরদৌসী আক্তারকে আটক করেছে। বাঁধনের বাবার নাম পলাশ শেখ। পলাশ শেখ ও আসলাম শেখ আপন দুই ভাই।
[৪] নিহত তুষারের বড় চাচা আবুল হোসেন, চাচাতো ভাই শারাফাত হোসেন শাকিবসহ প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, তার ছোট দুই ভাই পলাশ ও আসলামের মধ্যে জমিজমা নিয়ে কিছু বিরোধ ছিল। আমরা সম্প্রতি তাদরর মধ্যে ভাগবাটোয়া করে আলাদা আলাদা করে জমিজমা বুঝিয়ে দিয়েছি।
[৫] শনিবার সকাল ৯ টার দিকে পলাশ তার বাড়িকে বন্ধ দিতে (ফকির দ্বারা বিশেষ তাবিজ করা) বাড়িতে ফকির ডেকে আনে।
এ সময় আসলাম বাঁধা দিয়ে ফকিরকে ডেকে রাস্তার উপর নিয়ে আসে এবং চেয়ারম্যান -মেম্বার না আসা পর্যন্ত বাড়ি বন্ধের কাজ বন্ধ রাখতে বলে। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে কথা কাটাাকাটি শুরু হয়।
[৬] এক পর্যায়ে পলাশ (৪২), তার বৌ ফেরদৌসী (৩৫) ও ছেলে বাঁধন (১৭) ঘর থেকে ছুরি-বটি নিয়ে এসে আসলামের পরিবারের উপর হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে বাঁধন তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে তুষারের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্হানে আঘাত করে। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।স্হানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে অটোরিক্সা যোগে ফরিদপুর সদর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু পথিমধ্যেই সে মারা যায়। লাশ বর্তমানে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে রয়েছে। হামলার ঘটনায় নিহত তুষারের বাবা আসলাম শেখও রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে নিহতের পরিবার।
[৭] এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি অাব্দুল্লাহ অাল তায়ারীর জানান, সংবাদ পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন। এবং এ ঘটনায় পালাশের স্ত্রী ফেরদৌসী ও ছেলে বাঁধনকে আটক করে থানায় অানা হয়েছে। তবে পলাশ পালাতক রয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :