সালেহ্ বিপ্লব: [২] মার্কিন সামরিক বাহিনীর কাছে বেশ কিছু রোবট জলযান আছে, পানির নিচ দিয়ে চলাচল করে এরা শত্রুপক্ষের ওপর নজর রাখে। অনেকটা সাবমেরিনের মতো ধরে নেয়া যায়, এদের নাম আনক্রুড আন্ডারওয়াটার ভেহিক্যাল (ইউইউভি), এরা চুপিচুপি গিয়ে গোপন খবর নিয়ে আসে। জলের তলায় গুপ্তচরবৃত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের আজ যে বিশেষত্ব, তার সূচনা ঘটেছে চার্লি নামের একটা ক্যাটফিশ আকৃতির রোবটের মাধ্যমে। ডেইলি মেইল
[৩] নব্বইয়ের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির কর্তাদের মাথায় একটা দারুণ আইডিয়া আসে। পানির নিচে চলবে একা একা, কোন চালক থাকবে না, এমন একটি যান বানানোর কথা ভাবেন তারা। পপুলার মেকানিকস
[৪] সিআইএ’র অ্যাডভান্সড টেকনোলজিস বিভাগ সাগরতলে গোয়েন্দাগিরির জন্য এই ইউইউভি ও অন্যান্য রোবটিক জলযান তৈরির একটি প্রকল্প নেয়। বানানো হয় চার্লিকে। গতি এবং দক্ষতাসহ যে যে গুণ দরকার একটা আন্ডারওয়াটার ভেহিক্যালের, তার সবটুকু দিয়েই যানটিকে তৈরি করেছেন সিআইএ’র এক্সপার্টরা। একটি রেডিও হ্যান্ডসেটের সাহায্যে এই রোবট-জলযানকে পরিচালনা করা হয়। স্পেকট্রাম
[৫] তো বাহন বানানো হলো, এখন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে যেতে হলে এর একটা মানানসই চেহারা-আকার দিতে হবে। তখন সিদ্ধান্ত নিয়ে চার্লি নামের জলজ রোবটটিকে দেয়া হলো ক্যাটফিশের আকার। এটি লম্বায় দুই ফুটের মতো, সাধারণত ক্যাটফিশ তিন ফুট লম্বা হয়। সিআইএ
[৬] চলাফেরায় ক্যাটফিশের মতোই, তবে স্বভাবচরিত্রে মোটেও মাগুর মাছ নয় চার্লি। সে ময়লাপাতি বা অন্যান্য মাছ খায় না, বলা চলে শুধু পানি খায়। তার ডিউটিই হচ্ছে পানির স্যাম্পল সংগ্রহ করা, সেটাই সে পেটে করে নিয়ে আসে। ফ্লিপবোর্ড
[৭] এই চার্লিকে কোনও মিশনে কাজে লাগানো হয়েছিলো কি না কিংবা কোন কোন মিশনে, এই তথ্য প্রকাশ করেনি সিআইএ। তবে চার্লির পথ ধরে সাগরতলে গোয়েন্দাগিরির প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।