শাহীন খন্দকার : [২] শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ফুটপাতের ঈদ বাজার। প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের আগে জমে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাতের ঈদ বাজার। তবে এ বছর বাজার জমজমাট হওয়া শুরু হয়েছে বেশ দেরিতে। করোনার কারণে কেউ বেতন-বোনাস পেয়েছেন দেরিতে অথবা ধার করে করছেন কেনাকাটা।
[৩] বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মোহম্মদপুর কৃষি মার্কেট, নূরজাহান রোড, রিংরোড, ফার্মগেট, বসুন্ধরা এলাকার ফুটপাতের ঈদ বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। প্রতি বছর ঈদের তিন থেকে চার দিন আগে থেকেই ফুটপাতের দোকানগুলো জমজমাট হয়ে ওঠে। তবে এ বছর লকডাউনের কারণে বেচাকেনা শুরু হতে বেশ দেরি হয়ে গেছে।
[৪] কৃষি মার্কেটের সামনের ফুটপাত ব্যবসায়ি আক্কাস আলী বলেন, করোনা ও লকডাউন থাকায় সারাবছর খুব একটা বেচাকেনা হয়নি। ঈদের সময় একটু বেশি বিক্রি হলে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পেতাম। কিন্তু, লকডাউনের কারণে প্রথম দিকে বেচাকেনা তেমন হয়নি। বেচাকেনা করা যাবে কি না এই শঙ্কায় খুব একটা মালামাল উঠাইনি। তাই ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের পণ্য সরবরাহ করতে পারছি না।
[৫] ফুটপাতের বাজারে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা খোদেজা আক্তার জানান, গত এক মাস ধরে তার স্বামীর কোনো কাজ নেই। ঋণ করে বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি, ঈদে সবাই নতুন কাপড় পড়বে আমার বাচ্চারা কি শুধুই চেয়ে থাকবে? তাই ঋণ করেই কেনাকাটা করতে এসেছি। সেই টাকা দিয়ে স্বামীর জন্য শার্ট কিনছি।’ তবে নিজের জন্য কিছু কেনেননি বলেও জানান তিনি।
[৬] অনেকদিন পর দোকানে ভিড় দেখে খুশি বিক্রেতারাও। ফার্মগেট ও বসুন্ধরার সামনেও ক্রেতাদের ভিড় বেশি থাকলেও কারওয়ান বাজারে ভিড় কিছুটা কম ছিল। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান
আপনার মতামত লিখুন :