সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিব সরকারের সমালোচনার নামে এমন সব বিষয়ে অবতারণা করেন, যার জবাব আওয়ামী লীগকে দিতে হয়। বেগম জিয়ার ভূয়া জন্মদিবস নিয়ে জাতির কাছে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার সঠিক জবাব বিএনপির পক্ষ থেকে আজও পাওয়া যায়নি। বেগম জিয়া এখন অসুস্থ তাই ১৫ আগস্টের মত নৃশংস হত্যা দিবসে তাঁর ভূয়া জন্মদিন পালনের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন, এটাই মানুষ আশা করেছিলো। বিএনপি মহাসচিব তা না করে প্রতিদিনই এক একটা বিষয় নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে যাচ্ছেন।
[৩] সরকার নাকি বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে, বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার নয়, ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে বিএনপি। যেমনটি তারা ২০০১ সালে করেছিলো। ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়েছিল বিএনপি সরকার। ২১ হাজার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করেছে।
[৪] বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মীর রক্তে দেশকে মৃত্যু উপত্যকায় বানিয়েছিলো উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গুম, হত্যা, খুন, ধর্ষণ ও নির্যাতনের রূপান্তর করেছিলে তারা। মাহিমা, রহিমা, পূর্ণিমাসহ শত শত নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলো তা কি ভুলে গেছে বিএনপি? সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ৭১'এর পাক-হানাদারের নির্যাতনকেও হার মানিয়েছিলো।
[৫] বিএনপি নেতাদের আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার আহবান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কলঙ্কিত ইতিহাস আর বিকৃত অবয়ব ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারবেন না আয়নায়। দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ২৬ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজত যে ত্রাস ও তাÐব চালিয়েছিলো তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল বিএনপি। এর আগেও ভাস্কর্য ইস্যুতেও দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ত্রাস সৃষ্টিতে হেফাজতে ইসলামকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দিয়েছিলো বিএনপি। দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যত প্রয়াস তার সবগুলোর সঙ্গেই বিএনপি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তাই বিএনপি নেতাদের মুখে এসব কথা শুনলে হাসি পায়।
[৬] বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :