রাশিদুল ইসলাম : [২] জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে এবারো ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে দেয়নি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এরফলে ঈদের নামাজ পড়তে আসা ফিলিস্তিনিরা মসজিদটির বাইরে নামাজ আদায় করেন। স্পুটনিক
[৩] ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এর আগে ঈদ উদযাপন অনুষ্ঠান বাতিল করেন। গাজায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় ৫৩ জন নিহত হওয়ার পর তিনি এ ঘোষণা দেন।
[৪] মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গে মিল রেখে ফিলিস্তিনে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে। ঈদের দিনেও ইসরায়েলি বোমারু বিমান ঝাঁকে ঝাঁকে এসে গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করছে। ফিলিস্তিনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার খুব ভোরে গাজা উপত্যকার অধিবাসীরা যখন ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন থেকেই ইসরায়েলি বিমানগুলো বোমাবর্ষণ শুরু করে।
[৫] সাফওয়াত আল-কাহলুত নামে এক ফিলিস্তিনি আল জাজিরাকে বলেন, বোমা বর্ষণের কারণে বুধবার রাত থেকেই গাজা জেগে আছে। কিছু সময় পর পর বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, আর ভবনগুলো কেঁপে কেঁপে উঠছে।
[৫] ঈদের সকালে ইসরায়েলের হামলায় গাজা শহরের তেল আল-হাওয়া এলাকায় রিমা তেলবানী নামে এক গর্ভবতী নারী এবং তার শিশু সন্তান নিহত হয়েছে। এছাড়া গাজার শেখ জায়েদ এলাকার একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলায় প্রবীণ এক দম্পতি ভবনটির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মারা যান।
[৬] সংবাদ সংস্থা আল সাফা জানায়, বৃহস্পতিবার হামাসের সামরিক শাখা আল কাসসাম বিগ্রেডের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা ইসরায়েলজুড়ে আমাদের প্রতিরোধ সম্প্রসারিত করেছি। ফিলিস্তিন রক্ষায় আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।
[৭] ফিলিস্তিনের স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আল জাজিরাকে জানিয়েছে, অব্যাহত বোমা হামলায় ফিলিস্তিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আল জাজিরার হিসেবে, অন্তত ৬৯ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে অন্তত ১৭ শিশু ও ৮ নারী রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :