শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০২১, ০১:৩৪ দুপুর
আপডেট : ১২ মে, ২০২১, ০১:৩৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] দন্ত চিকিৎসার নামে প্রতারণা, ইনবক্সে বার্তা পেয়ে ব্যবস্থা নিল পুলিশ

সুজন কৈরী: [২] দাঁতের সমস্যার কারণে রাজধানীর দক্ষিণখানে এক গৃহবধু স্থানীয় হাজী সি‌দ্দিক মা‌র্কেটে মীর ডেন্ট নামক একটি দন্ত চেম্বারে যান। দামি আসবাবপত্র ও সুন্দর ডেকোরেশনে সাজানো চেম্বারটি। কয়েকবার এ‌ ডাক্তার‌কে দাঁতও দেখিয়েছেন। হাজার হাজার টাকা খরচ করেছেন। কিন্তু চিকিৎসায় তার খটকা লাগে। তার মনে হচ্ছিল তিনি সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তাই তিনি অন্য একজন ডাক্তারের কাছে যান। ওই ডাক্তার আগের ডাক্তারের চিকিৎসা সঠিক নয় এবং সন্দেহজনক বলে জানান।

[৩] পরে বিষয়টি জানিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশ ফেইসবুক পেইজের ইনবক্সে বার্তা পাঠান ভুক্তভোগী নারী। পরে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায় এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা করার কথা জানায়।

[৪] পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. সোহেল রানা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, রোগী তার স্বামীকে জানালে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পরামর্শ দেন। কেননা, সেই ডাক্তার ও তার পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী। এখানে তাদের বাড়ি, সম্পত্তি ও অনেক আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। তাদের সাথে ঝামেলায় গিয়ে এলাকায় টিকে থাকতে পারবেন না। কিন্তু স্ত্রী বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না।

[৫] গত ১১ মে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশ ফেইসবুক পেইজের ইনবক্সে বিষয়টি জানিয়ে বার্তা পাঠান। তিনি অনুরোধ করেন যেনো ওই ডাক্তারের বিষয়টি একটু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে তিনি কোনোভাবেই থানায় অভিযোগ বা মামলা করতে অস্বীকার করেন।

[৬] বার্তাটি দক্ষিণখান থানার ওসি সিকদার মো. শামীম হোসেনকে পাঠিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয় মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। পাশাপাশি দক্ষিণখান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার গোস্বামীকে পরামর্শ দেন বিষয়টি সুপারভাইজ করতে। এর প্রেক্ষিতে দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) মো. আফতাব উদ্দন শেখের নেতৃত্বে এসআই মোশাররফ হোসেনসহ পুলিশের একটি টিম সাদা পোশাকে বিষয়টি তদন্তে নামে।

[৭] তদন্তে তারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হন অভিযুক্ত ডাক্তারি পাস করা কোনো চিকিৎসক নন। দাঁতের ডাক্তার হিসেবে তার কোনো প্রোফেশনাল সার্টিফিকেটও নেই। তিনি এভাবে দীর্ঘদিন ধরে নিরীহ রোগীদের সাথে প্রতারণা করছিলেন। ওই ডাক্তারের দাবী, তিনি তার ডাক্তার বন্ধুদেরকে চিকিৎসায় সহায়তা করে থাকেন মাত্র। কিন্তু সরেজমিনে পুলিশ দেখতে পেয়েছে, অনুমোদিত ডাক্তার না হয়েও তিনি দাঁতের চিকিৎসা করছেন। চেম্বার‌টি তাৎক্ষ‌নিকভা‌বে বন্ধ করে দেয়া হ‌য়ে‌ছে। এ বিষয়ে উপযুক্ত আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়