ডেস্ক রিপোর্ট : পররাষ্ট্র কৌশল এবং বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ে আগেই সবকিছু সবার সামনে খুলে বলায় বিশ্বাসী নয় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা কী করি, না করি সব মিডিয়াকে বলি না। উই হ্যাভ ডিফারেন্ট ওয়ে অব ডুয়িং থিংস। আমরা জানি, আমরা কী করব। সবকিছু বলে দিলে তো মহামুশকিল।
মঙ্গলবার (১১ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের মনে আছে, এক সময় আমেরিকানরা জোর করে বলেছিল ইন্ডিয়াকে গ্যাস দিতে হবে। তখন প্রধানমন্ত্রী আমেরিকার মতো শক্তিকে বলেছিলেন— আমি আমার দেশের লোকের ৫০ বছরের গ্যাস মজুদ করার পরে চিন্তা করবো কাকে দেবো, কাকে দেবো না। আপনি বলার কে— আমেরিকা বলার পরে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যরা যাই বলুক না কেন আমরা আমাদের মতো চলবো। আমরা খুব লাকি যে, এরকম একজন লিডার পেয়েছি। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) দেশের স্বার্থেই কাজ করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কৌশলগত জোট ‘কোয়াড’-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, চাইনিজদের কাছ থেকে আমরা এ ধরনের আচরণ আশা করিনি।
ড. মোমেন আরও বলেন, যে কোনো দেশ তার বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। আমরা কী কাজ করব, না করব সেটা আমাদের দেশের মঙ্গলের জন্য আমাদের যে মৌলিক অবস্থান তার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তারা যাই বলুক না কেন।
চীনকে কোনো বার্তা দেওয়া হবে কি না জাতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কী করি, না করি সব মিডিয়াকে বলি না। উই হ্যাভ ডিফারেন্ট ওয়ে অব ডুয়িং থিংস। আমরা জানি, আমরা কী করব। সবকিছু বলে দিলে তো মহামুশকিল।
তিনি বলেন, এমনিতে চীন কখনো অন্যের বিষয়ে নাক গলায় না। আর এ রকম এগ্ৰেসিভভাবে কখনো কাউকে বলতে শুনিনি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা কী করব, না করব সেটা আরেকজন বড় করে বলছেন। দেশের মঙ্গলের জন্য যেটা প্রয়োজন সেটাই আমরা করব। চীনের কাছ থেকে আমরা এই ব্যবহার আশা করিনি।
সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, কোয়াডে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত জোট কোয়াডকে চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে বেইজিং। তাই চীন মনে করে, এতে যে কোনোভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ‘যথেষ্ট খারাপ’ করবে।
সূত্র- সময়.এখন
আপনার মতামত লিখুন :