মাসুদ আলম : [২] গাজীপুরের টঙ্গীর মিল গেট এলাকায় হা-মীম গ্রæপের একটি গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত শ্রমিক কাঞ্চনকে দেখতে রাত সাড়ে ১০টায় হাসপাতালে দেখতে যান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
[৩] হাসপাতাল থেকে প্রতিমন্ত্রীকে জানানো হয়, সংঘর্ষে আহত ১২ জন শ্রমিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের মধ্যে ১১ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি একজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসাধীন শ্রমিকের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। চিকিৎসার বিষয়ে দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। চিকিৎসার বিষয়ে উপস্থিত কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখার নির্দেশ দেন। চিকিৎসাধীন একজন শ্রমিকের চিকিৎসার খরচ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কেন্দ্রীয় তহবিল হতে বহন করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
[৪] এসময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা মেডিকেলের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. আলাউদ্দিন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ঢাকার উপ-মহাপরিদর্শক একে এম সালাউদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় তহবিলের সহকারী শামীমা সুলতানা হৃদয়, হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অন্য চিকিৎসকরা এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ঢাকা কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
[৫] সোমবার ঈদের ছুটি ১০ দিন বাড়ানোর দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩৫ জন আহত হন। এছাড়া পুলিশের ছুড়া গুলিবিদ্ধ হন ২৫ জন।