নিউজ ডেস্ক: বাগেরহাটে টিকটিক ও লাইকি অ্যাপসে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করায় সোমা আক্তারকে (১৯) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী। শনিবার (০৮ মে) সন্ধ্যায় বাগেরহাট শহরে দশানী উত্তরপাড়া এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘাতক স্বামী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত (২৩) বাগেরহাট মডেল থানায় আত্মসমর্পন করেছে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
হত্যার শিকার সোমা আক্তার বাগেরহাট সদর উপজেলার সিংড়াই গ্রামের আব্দুল করিম বকসের মেয়ে। সে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজে ইংরেজী বিভাগে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে পড়তেন।
আত্মসমর্পণকারী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত দশানী উত্তরপাড়া এলাকার গোলাম মোহাম্মাদের ছেলে। সে ঢাকায় একটি বাইয়িং হাউসে কাজ করত। প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে ২০১৯ সালে নাইম ও সোমার বিয়ে হয়েছিল।
শান্তোর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, লাইকি অ্যাপস ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোমার অ্যাকাউন্ট ছিল। সোমা সেসব অ্যাকাউন্টে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করত। এসব নিয়ে স্বামী নাইমের সঙ্গে তার ঝামেলা ছিল। শনিবার ঢাকা থেকে ফিরে সোমাকে ফোন করে। বিকেল তিনটার দিকে দশানীস্থ নাইমের বাড়িতে আসেন সোমা। সেখানে সন্ধ্যার দিকে গলায় ফাঁস দিয়ে সোমাকে হত্যা করে নাইম। নাইমের বাবা-মা ঢাকায় থাকায় বাড়িতে শুধু তারা দু’জনই ছিল। সোমার পরকিয়া সম্পর্ক ছিল বলেও পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে তার ঘাতক স্বামী।
সোমার ভাই রাসেল জানান, ছেলে বেকার কিছু করত না। আমার বোনকে খেতে পড়তে দিত না। এসব নিয়ে সংসারে ঝামেলা হতো। এই কারণেও হত্যা হতে পারে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। হত্যাকারী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত আমাদের হেফাজতে রয়েছে। সে হত্যার দায় ও কারণ পুলিশকে জানিয়েছে। হত্যার সঙ্গে অন্য বিষয় জড়িত আছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি। - বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম