শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ০৯ মে, ২০২১, ১২:০৩ রাত
আপডেট : ০৯ মে, ২০২১, ১২:০৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুলক ঘটক: অসাম্প্রদায়িকতার আবরণে ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক আঘাত

পুলক ঘটক: আমেরিকা বা ইংল্যান্ড অথবা অন্য যে কোনও একটি দেশের ইচ্ছে হলো তারা ইংরেজি দিনপঞ্জী সংশোধন করবে। সুতরাং তারা ইংরেজি ক্যালেন্ডার বদলে দিয়ে নিজেদের দেশে নতুন করে খ্রিস্টাব্দ গণনা শুরু করল। হবে? যে কোনও একটি দেশ চাইলেই কি এককভাবে হিজরী সাল বদলাতে পারে? বাংলা বর্ষগণনা যারা পরিবর্তন করার পরামর্শ দিয়েছিল এবং যারা এটা করেছে তাঁরা সদুদ্দেশ্যে এই কাজ করেছে বলে বিশ্বাস করার কারণ নেই।

আজ পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দিন তারিখের সঙ্গে বাংলাদেশের মিলছে না। তারা একদিন পহেলা বৈশাখ পালন করে, আমরা আরেকদিন করি। পশ্চিমবঙ্গের পহেলা ফাল্গুণ, বসন্ত উৎসব, রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন ২৫শে বৈশাখ, নজরুল জন্মবার্ষিকী এবং আমাদের দিনতারিখ ভিন্ন। আমেরিকায় এবং ইউরোপে প্রবাসী বাঙালিরা আজ ২৫শে বৈশাখ নিয়ে ভ্রান্তিতে আছে। তারা বাঙলাদেশের পঞ্জিকা অনুসরণ করবে, না পশ্চিমবঙ্গের? যারা এই বিভ্রান্তি তৈরি করে দিয়েছে, তারা না জেনে একটি ভুল করে ফেলেছে - এমন অবুঝ ছিলেন না। তারা বুঝেশুনে পরিকল্পিতভাবে এই অপকর্মটি করেছে। এটি হল অসাম্প্রদায়িকতার আবরণে ভয়ঙ্কর সাম্প্রদায়িক আঘাত। উদ্দেশ্য হলো বাঙালি হিন্দু এবং বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে বিঘ্নিত ও বিপন্ন করা। কারণ বাঙালি হিন্দুর ধর্ম এবং আচার অনুষ্ঠানের প্রায় শতভাগ বাংলা পঞ্জিকা নির্ভর। কোনদিন একাদশির উপবাস হবে, কবে ছেলের উপনয়ন, দুর্গা পূজার ঘটস্থাপন, সপ্তমী, অষ্টমী বা নবমী বিহিত পূজা, কবে পৌষ পার্বণ, কবে সংক্রান্তি, প্রয়াত পিতামাতার শ্রাদ্ধের দিন-তারিখ সবকিছু পঞ্জিকা নির্ভর। এর জন্য হিন্দুরা হাজার বছর যাবত যে পঞ্জিকা অনুসরণ করে আসছে তা বদলে দেওয়ার পেছনে কি সদুদ্দেশ্য থাকতে পারে? একই সমস্যা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে আদিবাসীদের জন্যেও। হিন্দু ও আদিবাসীদের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনের বেশিটাই লোকজ। এই পরিবর্তনে বাংলা বা বাঙালিয়ানার কোনো উপকার হয়নি।

এরফলে ২৫শে বৈশাখ আজ না কাল হবে এই নিয়ে বিশ্বের নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির জন্য বিভ্রান্তি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। শুধু বাংলা নয় - ভারতের বাকি অংশ, নেপাল, ভুটান, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়াসহ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখনো একই দিনপঞ্জি চালু আছে। সেসব দেশের বৌদ্ধ, আদিবাসী এবং সকলধর্মের সার্বজনীন বর্ষবরণ অনুষ্ঠান একই তারিখে হয়- যা বঙ্গাব্দের অনুরূপ। শুধু বাংলাদেশ এই পঞ্জিকা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিবর্তন করেছে। এরা না হয়েছে বাঙালি, না হয়েছে মানুষ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়