গোলাম সারোয়ার, আশুগঞ্জ প্রতিনিধিঃতিনটি পৃথক অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন টোলাপ্লাজা এলাকা থেকে ৭৫ কেজি গাঁজা, ৯০ বোতল ফেন্সিডিল, ০১ টি প্রাইভেটকার ও ০১টি মোটরসাইকেল‘সহ ০৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প ।
০৮ মে শনিবার দুপুরে র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব-১৪ জানায়,০৮ মে সকাল ০৮.৩৫ টায় র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প,কিশোরগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন গোলচত্তর যাত্রী ছাউনীর সামনে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আলম মিয়া (৩৮), পিতা-মৃত ইউসুফ আলী, মোঃ আকাশ (১৮), পিতা-মোঃ জলফু মিয়া, উভয়গ্রাম-কামালমুড়া, থানা-বিজয়নগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গ্রেফতার করেন। এসময় ধৃত আসামীদ্বয় এর নিকট হতে ০৪ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। একই তারিখ সকাল ০৯.৪৫ টায় র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প,কিশোরগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজার অনুমান ২০০ গজ পূর্ব দিকে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের ঢাকা গামী লেনের উপর অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী শ্রী লিটন মুন্ডা (৩১), পিতা-শ্রী নগেন্দ্র মুন্ডা, গ্রাম-নালুয়া চা বাগান, থানা-চুনারুঘাট, জেলা-হবিগঞ্জকে গ্রেফতার করেন। এসময় ধৃত আসামীর নিকট হতে ৭১ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, ০১ টি প্রাইভেটকার উদ্ধার করে জব্দ করা হয় ও সকাল আনুমানিক ১০.২৫ টায় র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প,কিশোরগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজার অনুমান ২০০ গজ পূর্ব দিকে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের ঢাকা গামী লেনের উপর অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ খলিল মিয়া (১৯), পিতা-মোঃ আব্দুল জলিল, গ্রাম-গাদ্দিশাল, ২। মোঃ সুজন (২১), পিতা-কাছম আলী, গ্রাম-কালামন্ডল, উভয় থানা-চুনারুঘাট, জেলা-হবিগঞ্জ। এসময় ধৃত আসামীদ্বয়ের নিকট হতে ৯০ বোতল ফেন্সিডিল, ০১ টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মোট মালামালের পরিমান ৭৫ কেজি গাঁজা, ৯০ বোতল ফেন্সিডিল, ০১টি প্রাইভেটকার ও ০১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
ধৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবত হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে চোরা চালানের মাধ্যমে গাঁজা ও ফেন্সিডিল দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসত। তারা বর্ণিত গাঁজা ও ফেন্সিডিল এর চালান রাজধানীর জনৈক ব্যক্তির নিকট বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছে বলে ধৃত আসামীরা স্বীকার করে।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী