মোঃ ইউসুফ মিয়া : [২] আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নিজ বাড়ীত্যোওয়ার জন্য মানুষের উপচে ভিড় বাড়ছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় ছোট যানবাহন পাটুরিয়া ফেরিঘাটে শতশত মানুষ ফেরীতে গাদাগাদী করে পার হতে হচ্ছে। সেখান থেকে ফেরিতে পদ্মা পার হচ্ছে এসব মানুষ। ফেরিঘাট থেকে অতিরিক্ত ভাড়ায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস করে দেশের বিভিন্ন জেলা যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
[৩] সরজমিনে আজ শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দেখা যায় যে ফেরী পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরীতে বোজাই করা যাত্রী প্রায় ৭ শতাধিক যাত্রী দৌলতদিয়া ফেরিঘটে পৌছায়।করোনা ভাইরাসের মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ফেরিতে সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি। এমনকি মাক্স ব্যবহার করতে দেখা যায়নি অনেক যাত্রীদের। গাদাগাদি করে ছুটছে লোকজন।
[৪] গাজীপুর থেকে ছেড়ে আসা যাত্রী মো. বিল্লাল খাঁন বলেন, আজ শুক্রবার ছুটির দিন তাই পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে যশোরের ঝিকরগাছা গ্রামের বাড়ীতে যাচ্ছি। পরিবারের সকল কে বাড়ীতে পৌছে দিয়ে আমি আবার গাজীপুর ফিরবো। দুরপাল্লার পরিবহন না চলাচল করায় এখন ভেঙ্গে ভেঙ্গে বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে হবে। তবে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সিন্ডিকেট থাকার কারণে গাড়ীতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আমাদের কে যেতে হচ্ছে।
[৫] কুষ্টিয়া জেলার নাজমা বেগম নামের এক যাত্রী বলেন, বেশিরভাগ মানুষ ঈদ উপলক্ষ্যে গ্রামের বাড়ীতে যাবে। তবে দৌলতদিয়া থেকে সবধরনের যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। এখানে প্রশাসনের কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মাইক্রোবাস চালক বলেন, কুষ্টিয়া থেকে ঈদের যাত্রী বহন করার জন্য দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসছি। এখান থেকে প্রভাশালী এক ব্যক্তির সহায়তার গাড়ী লাগনোর সুযোগ পেয়েছি। তাকে এক হাজার টাকা দিতে হয়েছে। যে কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রী বহন করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মহাব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দিনের বেলায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল করছে। রাতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য ছোট বড় মিলিয়ে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।
আপনার মতামত লিখুন :