সুজন কৈরী: [১] রাজধানীর মিরপুর-২ নম্বর এলাকায় একটি নির্মাণাধীন আবাসিক প্রকল্প থেকে প্রায় রাতে গায়েবি কান্নার শব্দ পেতেন একজন বাসিন্দা। কয়েকদিন চেষ্টা করে রহস্যের জট খুলতে না পেরে ঘটনা জানিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশ ফেইসবুক পেইজের ইনবক্সে বার্তা পাঠান। পরে পুলিশ গিয়ে খোঁজ নিয়ে রহস্যের জট খুলে।
[৩] শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. সোহেল রানা জানান, রহমান নামের ওই এলাকার একজন বাসিন্দা ফেসবুক পেইজের ইনবক্সে পাঠানো বার্তায় উল্লেখ করেন, তার বাড়ির পাশেই নির্মানাধীন একটি আবাসিক প্রকল্প। রাতের বেলা প্রায়ই সেখান থেকে গায়েবি কান্নার শব্দ ভেসে আসে। তিনি বিষয়টি জানতে কয়েকদিন চেষ্টা করেন। কিন্তু পারেননি। উপায়ান্ত না পেয়ে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান।
[৪] বার্তা পাওয়ার পর মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং থেকে মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. মোস্তাজিরুর রহমানকে নির্দেশনা দেওয়া হয় যে, সাদা পোশাকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে। এরই প্রেক্ষিতে ওসি থানার এসআই মো. নাজমুল হক ও এসআই মো. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে সাদা পোশাকের একটি টিম পাঠান। ওসির প্রত্যক্ষ তদারকিতে সাদা পোশাকের টিমটি পরপর দুদিন রাতের বেলা সম্ভাব্য কয়েকটি ভবন ও আশপাশের এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে অবশেষে রহস্যের জট খুলতে সক্ষম হয়।
[৫] পুলিশি অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে, একটি হাউজিং কমপেক্সের ভিতরে নির্মানাধীন ও বর্তমানে পরিত্যক্ত একটি ভবনে জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তি তার দুই শিশু বাচ্চা ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে। মিরপুরে নির্মানাধীন কমপ্লেক্সের যে পরিবেশে তিনি থাকতেন সেখানকার পরিবেশটা বেশ ভুতুরে। এখানেই প্রতিদিন তিনি তার সন্তানদের হাত-পা বেঁধে মারপিট করতেন। তারই চিৎকার শোনা যেতো দূর থেকে। স্ত্রী ও বাচ্চাদের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্যাতনকারী পিতাকে আটক করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।