শিরোনাম
◈ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ'র নির্দেশেই বাংলাদেশি সন্দেহে ওপারে পুশব্যাক করা হচ্ছে: মমতা ◈ বিশ্বকাপের আগে বাংলা‌দে‌শের আর কোনো ম্যাচ নেই, সবচেয়ে বেশি ভারতের ◈ বিলিয়ন ডলার ঋণে চা‌পে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ◈ ঢাবি শিক্ষক জামাল উদ্দীনকে হেনস্তা ডাকসু নেতার, ধাওয়া করার ভিডিও ভাইরাল ◈ একাত্তর আমাদের শেকড় এর প্রজন্মকে নিকৃষ্ট বলার দুঃসাহস তারা কীভাবে দেখায়: ফখরুল ◈ টানা লোকসান পেরিয়ে মুনাফায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১: অর্ধেক সক্ষমতায়ই আয় বেড়ে স্থিতিশীল হচ্ছে বিএসসিএল ◈ মাহফুজ ও আসিফের বিরুদ্ধে মিছিল, নেতৃত্বে এনসিপি থেকে বহিষ্কৃত মুনতাসির (ভিডিও) ◈ তফসিল ঘোষণার পর ইসির অধীনে যাবে যে সব দায়িত্ব ও ক্ষমতা ◈ যে কারণে এশিয়ার দেশে দেশে ভয়াবহ বন্যা, জানালেন বিজ্ঞানীরা ◈ ‘অপমানিত’ বোধ করছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, মেয়াদের অর্ধেকেই পদ ছাড়তে চান: রয়টার্সকে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন

প্রকাশিত : ০৬ মে, ২০২১, ০৭:৩১ বিকাল
আপডেট : ০৬ মে, ২০২১, ০৭:৩১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ‌‘৯৯৯’ প্রতিদিন গড়ে ফোন বেড়েছে ৭ হাজার

সুজন কৈরী : করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ১৪ এপ্রিল থেকে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে। এ সময়জুড়ে ৯৯৯-এ ঘুরে ফিরে ৪ থেকে ৫ ধরনের কল পাচ্ছে পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ।

সেগুলো হচ্ছে, খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করুন, ত্রাণ সহায়তা পাঠান, ত্রাণ কোথায় পাওয়া যাবে, সরকারের দেওয়া নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা কারা পাবে, এনজিও-ব্যাংক ঋণ, ক্রেডিট কার্ডের ঋণ মওকুফ হচ্ছে কি-না, বাড়ি ভাড়া মওকুফ হচ্ছে কি-না ইত্যাদি। এছাড়াও অ্যাম্বুলেন্স চেয়ে ফোনের সংখ্যাও বেড়েছে।

৯৯৯ কর্তৃপক্ষ বলছে, কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণার আগে দৈনিক ২২ হাজার ফোন পেলেও বর্তমান সময়ে এই কলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজারে। কলারদের অধিকাংশ কলই ছিল জরুরি সেবার আওতার বাইরে।

জাতীয় জরুরি সেবার মিডিয়া কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, সম্প্রতি ত্রাণ সহায়তা চেয়ে অনেক কল আসছে। তাদের আমরা সরকার ঘোষিত ৩৩৩ নম্বরে ফোন করার পরামর্শ দিচ্ছি। আর বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তি মওকুফের তথ্য জানতে চেয়েও অনেকে ফোন করেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও সরকারি নির্দেশনা না থাকার কথা জানিয়ে দেয়া হয়। এই কলগুলো যেহেতু ৯৯৯ এর জরুরি সেবার অন্তর্ভূক্ত না তাই আলাদা ভাবে এসব কলের হিসাব রাখা হয়না। তবে লকডাউন পূর্ববর্তী সময়ে যেখানে গড়ে প্রতিদিন ৯৯৯ এ ফোন কল আসতো বাইশ হাজার সেটি লকডাউন শুরু হওয়ার পর গড়ে প্রতিদিন ঊনত্রিশ হাজারে গিয়ে ঠেকেছে।

তিনি আরও জানান, লকডাউন চলাকালীন ৯৯৯-এ কল দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চাওয়ার সংখ্যাও বেড়েছে। আগে দিনে গড়ে ৯৯৯-এ ফোন করে ৭০টি অ্যাম্বুলেন্স চাওয়া হতো। সেই সংখ্যা এখন ১০০ তে গিয়ে ঠেকেছে।

৩৩৩-এ খাদ্য সহায়তা চেয়ে তিন লাখ ফোন

৯৯৯-এর পাশাপাশি জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরেও প্রতিদিন খাদ্য সহায়তার হাজার হাজার ফোন আসছে।

৩৩৩ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ এপ্রিলের পর থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত খাবার ও ত্রাণের জন্য জাতীয় হেল্পলাইনে মোট ৩ লাখ ফোন কল এসেছে।

সম্প্রতি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, কোনো মধ্যবিত্ত পরিবার যদি খাদ্য সংকটে থাকেন তবে ৩৩৩ নম্বরে কল দিলে তার বাসায় খাবার পৌঁছে যাবে। এই ঘোষণার পর থেকেই মূলত ফোন কলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

৩৩৩ জানিয়েছে, এসব ফোনকল যাচাই-বাছাই করে গত ২৫ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ২ হাজার ৫৭৭টি পরিবারকে খাবার পাঠানো হয়েছে। ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিন বছরে ৩৩৩ নম্বরে প্রায় ৩ কোটি ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে। মোট কলের মধ্যে সম্প্রতি ৫০ লাখের বেশি কল এসেছে শুধু করোনা বিষয়ক। স্বেচ্ছাসেবী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে টেলি মেডিসিন সেবা দেওয়া হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ নাগরিককে। এছাড়া ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে ত্রাণ সাহায্য চেয়ে কল এসেছে ১৮ লাখের বেশি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়