শিরোনাম
◈ যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা, নিহত অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি ◈ অনুমতি ছাড়াই সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষমতা পাচ্ছে দুদক ◈ ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন, দুজনের মৃত্যু ◈ ভেস্তে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে যুদ্ধবিরতি: গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর ◈ সোনার দাম একলাফে কমলো সাড়ে ১০ হাজার টাকা ◈ ইতালিতে রেসিডেন্স পারমিট পাওয়ায় শীর্ষ তিনে বাংলাদেশিরা ◈ গাজায় ইসরাইলপন্থী পক্ষপাতের অভিযোগে নিউইয়র্ক টাইমস বয়কটের ঘোষণা ১৫০-রও বেশি লেখক ও শিল্পীর ◈ বিপুলসংখ্যক জামিন প্রশ্নে তিন বিচারপতির কাছে কোনো ব্যাখ্যা নয়, তথ্য চাওয়া হয়েছে: সুপ্রিম কোর্ট ◈ ক্ষোভে জ্বলছে ভারতীয়রা : পাক জেনারেলকে ড. ইউনূসের দেওয়া উপহারের মানচিত্রে ভারতের সাত রাজ্য! ◈ জটিলতা কাটেনি গণভোটের সময় নিয়ে, দুই মেরুতে বিএনপি-জামায়াত

প্রকাশিত : ০৬ মে, ২০২১, ০৭:৩১ বিকাল
আপডেট : ০৬ মে, ২০২১, ০৭:৩১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ‌‘৯৯৯’ প্রতিদিন গড়ে ফোন বেড়েছে ৭ হাজার

সুজন কৈরী : করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ১৪ এপ্রিল থেকে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে। এ সময়জুড়ে ৯৯৯-এ ঘুরে ফিরে ৪ থেকে ৫ ধরনের কল পাচ্ছে পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ।

সেগুলো হচ্ছে, খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা করুন, ত্রাণ সহায়তা পাঠান, ত্রাণ কোথায় পাওয়া যাবে, সরকারের দেওয়া নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা কারা পাবে, এনজিও-ব্যাংক ঋণ, ক্রেডিট কার্ডের ঋণ মওকুফ হচ্ছে কি-না, বাড়ি ভাড়া মওকুফ হচ্ছে কি-না ইত্যাদি। এছাড়াও অ্যাম্বুলেন্স চেয়ে ফোনের সংখ্যাও বেড়েছে।

৯৯৯ কর্তৃপক্ষ বলছে, কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণার আগে দৈনিক ২২ হাজার ফোন পেলেও বর্তমান সময়ে এই কলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজারে। কলারদের অধিকাংশ কলই ছিল জরুরি সেবার আওতার বাইরে।

জাতীয় জরুরি সেবার মিডিয়া কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, সম্প্রতি ত্রাণ সহায়তা চেয়ে অনেক কল আসছে। তাদের আমরা সরকার ঘোষিত ৩৩৩ নম্বরে ফোন করার পরামর্শ দিচ্ছি। আর বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তি মওকুফের তথ্য জানতে চেয়েও অনেকে ফোন করেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও সরকারি নির্দেশনা না থাকার কথা জানিয়ে দেয়া হয়। এই কলগুলো যেহেতু ৯৯৯ এর জরুরি সেবার অন্তর্ভূক্ত না তাই আলাদা ভাবে এসব কলের হিসাব রাখা হয়না। তবে লকডাউন পূর্ববর্তী সময়ে যেখানে গড়ে প্রতিদিন ৯৯৯ এ ফোন কল আসতো বাইশ হাজার সেটি লকডাউন শুরু হওয়ার পর গড়ে প্রতিদিন ঊনত্রিশ হাজারে গিয়ে ঠেকেছে।

তিনি আরও জানান, লকডাউন চলাকালীন ৯৯৯-এ কল দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চাওয়ার সংখ্যাও বেড়েছে। আগে দিনে গড়ে ৯৯৯-এ ফোন করে ৭০টি অ্যাম্বুলেন্স চাওয়া হতো। সেই সংখ্যা এখন ১০০ তে গিয়ে ঠেকেছে।

৩৩৩-এ খাদ্য সহায়তা চেয়ে তিন লাখ ফোন

৯৯৯-এর পাশাপাশি জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরেও প্রতিদিন খাদ্য সহায়তার হাজার হাজার ফোন আসছে।

৩৩৩ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ এপ্রিলের পর থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত খাবার ও ত্রাণের জন্য জাতীয় হেল্পলাইনে মোট ৩ লাখ ফোন কল এসেছে।

সম্প্রতি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, কোনো মধ্যবিত্ত পরিবার যদি খাদ্য সংকটে থাকেন তবে ৩৩৩ নম্বরে কল দিলে তার বাসায় খাবার পৌঁছে যাবে। এই ঘোষণার পর থেকেই মূলত ফোন কলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

৩৩৩ জানিয়েছে, এসব ফোনকল যাচাই-বাছাই করে গত ২৫ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ২ হাজার ৫৭৭টি পরিবারকে খাবার পাঠানো হয়েছে। ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত তিন বছরে ৩৩৩ নম্বরে প্রায় ৩ কোটি ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে। মোট কলের মধ্যে সম্প্রতি ৫০ লাখের বেশি কল এসেছে শুধু করোনা বিষয়ক। স্বেচ্ছাসেবী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে টেলি মেডিসিন সেবা দেওয়া হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ নাগরিককে। এছাড়া ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে ত্রাণ সাহায্য চেয়ে কল এসেছে ১৮ লাখের বেশি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়