সমীরণ রায়: [২] বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার উচ্ছেদের আন্দোলনে জনগণকে শামিল হতে হবে। কারণ দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। একইসঙ্গে করোনা মোকাবেলায় যে সব আমলারা অব্যবস্থাপনার সৃষ্টি করছে, তাদেরকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
[৩] তারা বলেন, সরকার করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভ্যাকসিন নিয়ে লুটপাট চলছে, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বেক্সিমকো গ্রুপের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে ১৮ লাখ ভ্যাকসিন গ্রহীতার স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
[৪] তারা আরও বলেন, এই সরকার জনগণের নয়। রাতের অন্ধকারে ভোটের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে। সরকারকে যত তাড়াতাড়ি বিদায় করা যাবে জনগণ তত তাড়াতাড়ি মুক্তি লাভ করবে। সরকারদলীয় লোকরা সর্বক্ষেত্রে লুটপাট করছে। প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে 'বকশিশ' দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, এই টাকা পেয়েছে কারা? তারা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, গ্রামের কোনো লোক এই টাকা পায়নি। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছে। তাহলে এই টাকার একটি ডাটাবেজ অবশ্যই সরকারের কাছে আছে, তা প্রকাশেরও জোর দাবি জানান তারা।
[৫] বক্তারা দেশের খেটে খাওয়া মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও এই ঈদের সময় প্রত্যেককে ন্যূনতম ৫হাজার টাকা করে দেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে বাজার মনিটরিংয়ে সরকারকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
[৬] জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সাইফুল হক, হামিদুল হক সরকার, মানস নন্দী, সাদিকুর রহমান শামীম প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :