মঈন উদ্দীন:[২] রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বর্হিবিভাগ ও জরুরি বিভাগের গেটের বাইওে বেপরোয়া রোগীধরা দালালচক্র। রোগিদের ধরে নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালের নিয়ে যাচ্ছে তারা। দালাল চক্রটি রোগিদের জানাচ্ছে, করোনার জন্য লকডাউনে হাসপাতাল বন্ধ, ঝুকি আছে, ডাক্তার নেই ! ওষুধ দেয়া হচ্ছে না। বাইরে সেবা নিতে হবে। আর এসব কাজে সমন্বয় করে থাকছে দালালদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দানকারী বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালের মালিক, কর্মচারী ও কতিপয় চিকিৎসকগণ।
[৩] অনেক রোগী হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বাঁধা দিচ্ছে দালালরা। এতে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালের পরিবেশ। ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ছে সেবা নিতে আসা রোগী-স্বজনরা।গত কয়েক মাস থেকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য সীমা ছাড়ালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ বিভাগ শুদ্ধি অভিযান শুরু করেন। এতে তারা কৌশল পরিবর্তন করেছে। টিকিট কেটে রোগী সেজে হাসপাতালে প্রবেশ করছে এবং গেটের বাইরে থেকে কার্যক্রম চালাচ্ছে।
[৪] হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, আগের চেয়ে সমস্যা কিছুটা কমেছে। তবে দালালরা কৌশল পরিবর্তন করেছে। তাদের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে জানালে ও পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে তবেই অভিযান পরিচালনা করা হয়। তাই প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সকলকে এক হয়ে এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে তারা। রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম সোনার দেশকে জানান, হাসপাতালের পরিবেশ ঠিক রাখতে দালাল নির্মূলে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।
[৫] রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজউদ্দিন জানান, হাসপাতাল দালালমুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কাজ করছি। তবে হাসপাতালের বাইরে দালালরা তাদের কার্যক্রম করছে। এই বিষয়ে আমি আমাদের আগামী মিটিং এ সবার সাথে কথা বলতে এই সমস্যার সমাধান চাই। আর প্রশাসন ও আইশৃঙ্খলা বাহিনী যদি আমাদের সার্বক্ষণিক অভিযান করে সহযোগিতা করে তবে আমরা এই সমস্যার সমাধন করতে পারবো।