কামাল আহমেদ: গত এক সপ্তাহ ধরে কিছু প্রশ্ন করতে চেয়েও করিনি। এখন সময়ের ব্যবধানের কারণে অনেকটা নিশ্চিন্তেই প্রসঙ্গটি তুলতে পারি। বিষয়টি বসুন্ধরার তথ্য ব্যবস্থাপনার করুণ হাল সম্পর্কে। তারা কীভাবে গণমাধ্যমের ব্যবসায় সফল হবেন, তা বোঝার চেষ্টা থেকেই প্রশ্নগুলো সামনে আসছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে দিনের পর দিন নীরবতা পালন এবং সংবাদটিকে মাটিচাপা দেওয়ার চেষ্টায় যে উল্টো ফল হবে, সেটা কেন তারা বুঝতে পারলেন না? তদন্ত ও আদালতের বিচারের আগেই যে সবাই তাকে অপরাধী করে ফেলছে, এই ফল কি তারা চেয়েছিলেন?
সাতদিনের চেষ্টাতেও কি খবরটি জনপরিসরের আলোচনা থেকে তারা সরাতে পেরেছেন? অথচ শুধু দুটো বাক্য খরচ করলেই এই পরিস্থিতি তারা এড়াতে পারতেন। বাক্য দুটি হচ্ছে: [১] দেশের বিচারব্যবস্থায় তার আস্থা আছে এবং যথাযথ তদন্ত ও ন্যয়বিচারে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন; [২] তদন্তাধিন বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেওয়া সমীচিন বলে তিনি মনে করেন না ও তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে এমন বক্তব্য দেওয়া থেকে সবাই নিবৃত থাকবেন বলে তিনি আশা করেন। এরকম বক্তব্যসহ খবরটি নিজেদের টিভি-রেডিও-কাগজে প্রচার করলে তারা নিজেরা যেমন আদালতের বিচার পর্যন্ত সময় পেতেন, তেমনই ওইসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকদেরও কোনো বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হতো না। অন্য সাংবদিকদেরও বিড়ম্বনা কম হতো। ফেসবুক থেকে