মাসুদ আলম: [২] ঈদ সামনে রেখে মার্কেট ও দোকানপাটে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলা হলেও অনেকেই তা মানছেন না। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
[৩] মঙ্গলবার দুপুরে নিউ মার্কেটে মাস্ক না পরায় দোকানি ও ক্রেতাদের ৬ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব দাস। তিনি বলেন, নিউ মার্কেট এলাকায় ২১টি মামলায় ৬ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। এক হাজার থেকে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য উৎসাহিত করা। জনগণ যদি সচেতন না হয় তাহলে অভিযান পরিচালনা করে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো না।
[৪] একই সময় পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ রফিকুল ইসলাম।দের মধ্যে ৭ জন ক্রেতা। অভিযানে দেখা যায় অনেকেই মাস্ক পরছেন না, পরলেও কারও নাকের নিচে, কারও থুতনি কিংবা হাতে কারও নাকের নিচে, কারও হাতে, কারওবা থুতনিতে মাস্ক দেখা যায়। অভিযান শুরুর পরই নাকের নিচে মাস্ক পরে ঘোরাফেরার সময় নিশাদ নামে এক দোকান কর্মচারীকে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এরপরই নিচ তলার ওই অংশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও তখন শপিংমলের অন্যান্য ফ্লোরে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলো। দোকানের সামনে যাওয়া মাত্রই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছিলো। এক রকম অন্ধকারের মধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ।
[৫] নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, জরিমানা নয়, মূলত করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নই লক্ষ্য।