শাহাদাত হোসেন: হালদা নদীতে যে কোন সময় ডিম ছাড়তে পারে মা মাছ। ডিম সংগ্রহের অপেক্ষার প্রহর গুনছে নদীর দু'পাড়ের ডিম সংগ্রহকারীরা নৌকা আর জাল নিয়ে।দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে প্রতি বছরের চৈত্র মাস থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত সময়ে মা মাছ ডিম ছাড়ে।পরিদর্শনে দেখা গেছে, বর্তমানে নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার জন্য আনাগোনা করছে।
বজ্রপাত ও বৃষ্টি হলে নদীতে পাহাড়ি ঢল নামলে যে কোন সময়ে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার ভরা মৌসুমে ডিম সংগ্রহকারীরা নদীর তীরে পূর্ব থেকে মাটি কুয়া খনন করে রেখেছে ডিম সংগ্রহ করার পর ডিম থেকে রেনু ফুটানোর জন্য। নেওয়া হয়েছে সব রকমের প্রস্তুতি। গতকাল ২ মে রাতে বৃষ্টি আর বজ্রপাত হলেও নদীতে ডিম ছাড়েনি মা মাছ।
কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি ও আবহাওয়া ঠিক থাকলে মে মাসের মধ্যে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়াতে পারে বলে আশা করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
রাউজান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পীযুষ প্রভাকর জানায়, দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষিত হালদা নদীতে এখনো মা মাছ ডিম ছাড়েনি। প্রতি বছরের কার্প জাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়ে চৈত্র মাস থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত।সবচেয়ে বেশি ডিম ছাড়ে রুই, মৃগেল,কালিবাউশ মাছ। চলছে ডিম ছাড়ার ভরা মৌসুম।
যে কোনো সময় ডিম ছাড়তে পারে কার্প জাতীয় মা মাছ। জাল আর নৌকা নিয়ে প্রস্তুত রাউজান- হাটহাজারীর কয়েকশ ডিম সংগ্রহকারীরা। তিনি আরো জানান, হালদা নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করার পর নদীর তীরে মাটির কুয়ায় ও হ্যাচারীতে ডিম ফুটিয়ে রেনু উৎপাদন করা হয়।
রেনু উৎপাদন করার পর দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মৎস্য খামারী, মৎস্য চাষীরা এসে ডিম সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে রেনু ক্রয় করে নিয়ে যায় । ইতিমধ্যে ডিম ফুটানোর জন্য রাউজান ও হাটহাজারীর ৫টি হ্যাচারী প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। রাউজানের কাগতিয়া ও পশ্চিম গহিরায় দু"টি হ্যাচারী ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
তবে আগামী আমবষস্যার তিথিতে প্রবল বর্ষন ও বজ্রপাত হলে হালদা নদীতে ডিম ছাড়তে পারে মা মাছ ।