মাসুদ আলম : [২] সোমবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সাল থেকে সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত নৌ-পথে ৬০১টি ছোট-বড় দুর্ঘটনায় ৭৭৩ জন নিহত, ৯১২ জন আহত ও ১ হাজার ১৬৬ জন নিখোঁজ হয়েছে। ২০১৮ সালে ১৫৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১২৬ জন নিহত, ২৩৪ জন আহত ৩৮৭ জন নিখোঁজ হয়। ২০১৯ সালে ২০৩ টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২১৯ জন নিহত, ২৮২ জন আহত ও ৩৭৫ জন নিখোঁজ হয়। ২০২০ সালে লকডাউনের মধ্যেও ১৮৩টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩১৩ জন নিহত, ৩৪২ জন আহত ও ৩৭১ জন নিখোঁজ হয়।
[৩] তিনি আরও বলেন, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে ১৭টি ছোট-বড় নৌ-দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত, ১৩ জন আহত, ১১ জন নিখোঁজ হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫ টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত, ১৯ জন আহত, ১৭ জন নিখোঁজ হয়। মার্চ মাসে ১০টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত, ১৩ জন আহত, ৩ জন নিখোঁজ হয়। লকডাউনে এপ্রিল মাসে ১৪টি দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত, ৯ জন আহত ও ২ জন নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে।
[৪] তিনি বলেন, সোমবার সকালে মাদারীপুরের শিবচরে কাঁঠালবাড়ি পুরাতন ঘাটে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৫ জন আহত হওয়ার ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি ও নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা এবং আহতদের ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দাবি জানান তিনি।
[৫] তিনি আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যেও এত বেশি সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট চলাচলের জন্য ঘাট ইজারাদার, নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড, বিআইডাব্লিউটিএ ও সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর কেউ দায় এড়াতে পারেন না। মনিটরিংয়ের দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ এনে হত্যা মামলা দায়ের করার দাবি জানান তিনি।
[৬] তিনি বলেন নৌ-পথ দিন দিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে দাবি করে তিনি বলেন, সরকার নৌ-পথের উন্নয়নে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করলেও এ খাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর উদাসীনতা, দায়িত্বে অবহেলাসহ নানা কারণে নৌ-পথের যাত্রীদের নিরাপত্তা বরাবরই উপেক্ষিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :