শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ০৩ মে, ২০২১, ০২:০১ দুপুর
আপডেট : ০৩ মে, ২০২১, ০২:০১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] পুঠিয়ায় দ্বিতীয় দফায় ১১০টি ‘পাকা ঘর’ নির্মাণ শেষ পর্যায়ে

আবু হাসাদ : [২] জেলার ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জমিতে ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য দ্বিতীয় দফায় ১১০টি নান্দনিক পাকা ঘর তৈরি কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

[৩] আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে এর আগে ৫৪ টি পাকা ঘর তৈরি শেষে চলতি বছরের শুরুতে গৃহহীদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

[৪] এদিকে দ্বিতীয় দফায় নির্মিত ঘর গুলো আগামী মাসের যে কোনো সময় আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধন শেষে ওই অসহায় পরিবারের লোকজনদের মাঝে তাদের “স্বপ্নের পাকা ঘর” গুলো হস্তাস্তর করা হবে।

[৬] উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের অধীনে ৬টি ইউনিয়ন এলাকায় দ্বিতীয় দফায় ১১০ টি পাকা ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নান্দনিক ভাবে নির্মিত হচ্ছে পাকা ঘর গুলো। এতে প্রতিটি পাকা ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা।

[৭] ঘর গুলোর বেশির ভাগ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এছাড়া গত বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পে এমন ৩০৫টি পরিবারকে টিনসেট ঘর তৈরি করে দেয়া হয়। ওই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। বর্তমানে ওই ঘর গুলোতে বসবাস করছেন জমি আছে ঘর নেই এমন পরিবারের লোকজন।

[৮] সরেজমিনে উপজেলার বারইপাড়াসহ বিভিন্ন ইউপি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে ১১০টি পাকা ঘর। বর্তমানে ওই ঘর গুলোর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে ঘরের রং ও ধোয়া-মুছার কাজ। প্রতিটি পবিরারের জন্য দুটি রুম বিশিষ্ট পাকা ঘরের মধ্যে আরও রয়েছে একটি বার্থরুম ও রান্নার স্থান। সেই সাথে ওই পরিবারগুলোর আধুনিক সুবিধার জন্য থাকছে আলাদা বিদ্যুৎ সংযোগ, পানি সরবরাহের পাশাপাশি ওই এলাকায় স্থাপন করা হচ্ছে আলোকবার্তি। আর তাদের যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নতুন সড়ক।

[৯] উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু বলেন, ‘সবার জন্য বাসস্থান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার’ সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে সারাদেশেই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নান্দনিক পাকা ঘর। মুজিববর্ষ উপলক্ষে চলতি বছরের শুরুতে প্রথম দফায় ৫৪টি পরিবারের জন্য পাকা ঘর প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে নির্মিত ঘর গুলো মে মাসের যে কোনো গৃহহীনদের মাঝে অনুষ্ঠানিক ভাবে বিতরণ করা হবে।

[১০] এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ভূমি ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ তৈরি করে দেয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি কর্মসূচি। এই উপজেলাতে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জমিতে দ্বিতীয় দফায় ১১০টি ঘর নির্মিত হচ্ছে। আশা করা যায় অল্প সময়ের মধ্যে ওই তৈরিকৃত ঘর গুলো গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হবে।

[১১] তিনি আরও বলেন, ঘর গুলো তৈরিতে অনেক উন্নতমানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। ওই ঘরে বসবাসকারীরা ভূমি ও আশ্রয়হীন হলেও সরকারের নির্দেশনায় তাদের সকলকে আধুনিক মানের সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

[১২] সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। আর ঘর তৈরির কাজ যথা সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে বলে জানান তিনি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়