রাহুল রাজ :[২] আগ্রাসী ব্যাটিং করে করুণরত্নে ফিরে গেলেও রানের চাকা সচল রেখেছিলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। তাকে থামিয়ে স্বস্তি এনে দিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। পয়েন্টে পাঞ্চ করতে মিরাজের বলে প্রথম স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়েন। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫২ বলে ৪১। তার ইনিংসটি সাজানো ছিলো ৪টি চার ও ১টি ছয়ে।
[৩]আগের ৩ টেস্টে খেলে মাত্র ১২ বল করেছিলেন। পাননি কোনো উইকেটের দেখা। নিজের চতুর্থ টেস্টে খেলতে নেমে পেলেন অভিষেক উইকেটের দেখা। তাও শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক করুণারত্নের উইকেট। করুণারত্নে এগিয়ে এসে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন; শর্ট লেগে ধরা পড়েন ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে। ম্যাথুজের পর করুণারত্নের ক্যাচও ধরলেন এই পরিবর্তিত ফিল্ডার।
[৪]শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কোনো সিরিজে ৪০০ রানের বেশি করেছেন। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৪৪, দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১১৮ ও দ্বিতীয় ইনিংস হাফসেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন। এই সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তিনি সবার ওপরে। তার পরে আছেন তামিম ইকবাল; তার রান ২৫৬।
[৫]আগ্রাসী ব্যাটিং করে মাত্র ৫৯ বলে দ্বিতীয় ইনিংসে হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। তাইজুলকে চার মেরে ক্যারিয়ারের ২৬ তম ফিফটির দেখা পান। তার ইনিংসটি সাজানো ৬টি চার ও ১টি ছয়ে। তার এমন ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকরা বড় লিডের পথে।
[৬]চতুর্থ দিনের সপ্তম ওভারেই স্বস্তি এনে দেন তাইজুল ইসলাম। তার ফ্লাইট ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে শর্ট লেগে ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুজ। রাব্বী পরিবর্তিত ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নামেন। ম্যাথুজের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান।
[৭]সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা: দ্বিতীয় ইনিংস- ১৪৩/৫ (নিসানকা ১*, ডিকওয়ালা ০*); প্রথম ইনিংস ৪৯৩/৭ ডিক্লে.। বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস- ২৫১