মিনহাজুল আবেদীন: [২] কয়েক সপ্তাহ আগেও ভারত ভেবেছিলো যে তারা করোনাভাইরাসের আপদ দূর করতে সক্ষম হয়েছে অনেকটাই। কিন্তু সেই দেশটি এখন কোভিড প্যানডেমিকের ‘গ্রাউন্ড জিরো’ পরিণত হয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে দিল্লিসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।
[৩] সরকারের কোভিড বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম শুক্রবার বিবিসি বাংলায় বলেন, ভারত থেকে ভাইরাসটি আসা বন্ধ করা অসম্ভব। তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হবে, অক্সিজেনের উৎপাদন এবং পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করতে হবে।
[৪] মার্কিন সাময়িকী দ্য আটলান্টিকের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে এখন সংক্রমণের ঢেউ নয় বরং জলোচ্ছাসের মহাপ্লাবন তৈরি হয়েছে।
[৫] ইনসাকোগ প্যানেলের চেয়ারম্যান শাহিদ জামিল বলেন, ‘বিজ্ঞানী হিসেবে আমরা প্রমাণ সরবরাহ করেছি, নীতি-নির্ধারণ সরকারের দায়িত্ব ছিলো, কিন্তু তারা সেটি করে নি।’
[৬]এই প্যানেলের চার বিজ্ঞানী বলেন, নতুন ধরণ নিয়ে উদ্বেগ জানানো সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করার বিষয়টি ভাবে নি। লাখ লাখ মানুষ কোনো স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করা ছাড়াই ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক মিছিল-মিটিংয়ে অংশ নিয়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপিসহ ভারতের বিরোধী সব রাজনৈতিক দলগুলোই জনসমাবেশ ও নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে।
[৭] বাংলাদেশের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞরা সরকারের প্রতি ১০ টি প্রতিকারমূলক উদ্যোগের সুপারিশ করেছে। ভারত সরকার বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে যে খেসারত দিচ্ছে, বাংলাদেশ সেখান থেকে শিক্ষা নেবে। একই ভুলের পথে হাটবে না বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞমহল। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান
আপনার মতামত লিখুন :