মেহেদী হাসান: [২] দুই সপ্তাহের টানা লকডাউন পার করলো বাংলাদেশ। লকডাউনে কতটা সুফল পেয়েছে, তা নিয়েই এই বিশ্লেষণ।
[৩] গত ১৪ এপ্রিলে লকডাউনের আগে এপ্রিলের প্রথম তের দিনে কোভিডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৮৬ হাজার ৬৫৫ জন আর লকডাউনের পর ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬১ হাজার ৪৩৭ জন। অর্থাৎ লকডাউনের পরে আক্রান্ত সংখ্যা ছিল ২৯.১১ শতাংশ যা পূর্বের তুলনায় ৭০.৮৯ শতাংশ কমে গিয়েছিল।
[৪] অতীতের লকডাউনের ইতিহাস ততোটা সুখকর ছিল না। লকডাউনের মধ্যে তৈরি পোষাক কারখানা খোলা রাখার অপরিপক্ক সিদ্ধান্তের কারণে, ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ রাস্তায় নেমেছিল, যার চিত্র আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখেছিলাম।
[৫] যদিও এবার আমাদের স্বভাব দোষে লকডাউনের মধ্যে একটি অংশ ঘরের বাহিরে ছিল, এরপরও সংক্রমণ ঠেকানোর এই পরিকল্পনায় কিছুটা হলেও কাজে দিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে অনেকটা।
[৬] তবে নতুন করে লকডাউন শিথিলে এর প্রভাব খর্ব হবে বৈকি। দারিদ্রের সংখ্যা যেখানে অধিক, সেখানে দীর্ঘ সময়ে লকডাউনের বাস্তবায়ন অবশ্যই কঠিন।
[৭] লকডাউনের সফলতা নিয়ে সরকারকে অবশ্যই সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতামত হচ্ছে, সরকারের উচিত হবে, অঞ্চল ভিত্তিক লকডাউনে জোরদার করা। যেসব অঞ্চলে সংক্রমণের হার বেশি, সেই সব অঞ্চলে লকডাউন দীর্ঘায়িত করা। লকডাউনের আগে অবশ্যই গরীব-খেটে খাওয়া মানুষের খাবার নিশ্চিত করা। মহামারি মোকাবেলায় এটি একটি কার্যকর দিক হতে পারে। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :