সুজন কৈরী: [২] বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পিআর) মো. সোহেল রানা জানান, মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেইজের ইনবক্সে একটি বার্তা আসে। সেখানে একজন মেডিকেল পড়ুয়া ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, সে রাজধানীর একটি অত্যন্ত খ্যাতনামা সরকারি মেডিকেল কলেজের ছাত্রী। তার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক ছেলের বিয়ের কথা চলছিলো। ছেলেটি দেখতেও গিয়েছিলো তাকে।
[৩] দেখতে গিয়ে মেয়েটির ফোন নম্বর নিয়ে যায় ছেলেটি। এরপর কয়েকদিন দুজনের মধ্যে ফোনে কথা হয়। তবে ছেলেটিকে ভাল না লাগায় মেয়েটি মানা করে দেয়। কিন্তু ছেলেটি তাকে নানাভাবে বিরক্ত করতে থাকে।
[৪] ফেসুবকে তার নামে ভুয়া আইডি খুলে আজেবাজে বিভিন্ন কথা লিখতে থাকে। সেই আইডি দিয়ে ছাত্রীর মেডিকেলের বিভিন্ন গ্রুপে ঢুকে নানা পোস্ট দিতে থাকে। পাশপাশি মেয়েটির আত্মীয় স্বজনদেরও বিরক্ত করছিলো ছেলেটি। তার এই হয়রানির কারনে মেয়েটি কোনোভাবেই পড়াশোনা করতে পারছে না। ভীষণ মানসিক যন্ত্রনায়র মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে। তার পরিবারও অতিষ্ঠ। এক পর্যায়ে সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সে পুলিশের সহযোগিতা চায়।
[৫] সোহেল রানা বলেন, বার্তা পাওয়ার পরপরই মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাঈনুল ইসলামকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়। পাশাপাশি ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার পদমর্যাদার আরও দুই কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদারকির নির্দেশনা দেওয়া হয়।
[৬] উভয়ের তদারকি ও ওসির প্রত্যক্ষ উদ্যোগে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই মেয়েটি ও তার পরিবারকে থানায় আসার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। মেয়েটির অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে অভিযুক্ত ছেলেকে আইনের আওতায় আনা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :