আমানসাদুজ্জা: [২] করোনা প্রতিরোধে সাতক্ষীরার ২৩৮ কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃখংলা বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কেউ যাতে সাতক্ষীরার কোনো সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাতায়াত না করতে পারেন সে জন্য সীমান্তে এই কঠোর নজরদারী করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত জুড়ে রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারী।
[৩] সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ জানান, সীমান্তে বিজিবি’র পেট্রলিং ইতোমধ্যে বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে লোকবল। অবৈধ যাতায়াত বন্ধে শুন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
[৪] তিনি আরো জানান, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ইতোমধ্যে সীমান্তের প্রতিটি মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে কেউ যাতে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার না করেন সেটিও মাইকিং করে জানানো হচ্ছে।
[৫] নাম প্রকাশ না করার শর্তে সীমান্তের একাধিক ব্যক্তি জানান, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রচুর লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। বিশেষ করে যারা কাজের জন্য ভারতে যান, তাদের অধিকাংশ অবৈধভাবে যান।
[৬] তারা আরো জানায়, সাতক্ষীরা সীমান্তে কমপক্ষে ১৭টি কথিত চোরাই ঘাট রয়েছে। রয়েছে কথিত ঘাট মালিক। জনপ্রতি ৭ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকায় তাদেরকে অবৈধ পথে কোলকাতায় পৌঁছে দেয়া হয়।
[৭] এদিকে, মহামারী করোনা ঠেকাতে সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দরে আজ সকাল থেকে ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপারদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাইরাল স্কানের মাধ্যমে চেক করে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হচ্ছে। একই সঙ্গে পণ্যবাহী ট্রাকগুলোও জীবানু মুক্ত করা হচ্ছে।
[৮] ভোমরা স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশসেনর সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকেরই স্বাস্থবিধি মেনে বন্দরের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সম্পাদনা: হ্যাপি