কাজী নুসরাত : বাবুনগরীর ভিডিও বার্তায় যা বুঝলাম, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সংগঠনের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের পরামর্শে হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ এর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। তবে,তবে, তবে, আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে তারা আবার ফিরিয়া আসিবেন। টুইস্টটা এইখানে।
অতএব, এত খুশি হওনের কিছু নাই। কওমি মাদ্রাসাগুলিতে এখনো জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় না। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস পালন করা হয় না। রাষ্ট্রের কোনো আচার-অনুষ্ঠান তারা পালন করে না।
সম্প্রতি মামুনুল কাণ্ডেও আমরা দেখেছি, রাষ্ট্রের আইনকানুন তারা কোমরে গুঁইজ্জা রাখছেন। নইলে এই রাষ্ট্র কি এক হালি মৌখিক কন্ট্রাক্টের স্বেচ্ছাচারী বিয়া স্বীকৃতি দেয়???
ওয়াজ মাহফিলের নামে এখন যা চলছে তার স্বীকৃতি দেয়? এখন অবশ্য এই মানবিক বিবাহের প্রবর্তক শ্রী ঘরে আছেন। কিন্তু এর আগে হেফাজত এই অভিনব হালিখানেক বিবাহেরও স্বীকৃতি দিয়ে দিছিল। ধর্মকে এরা এদের খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার করে আসছে এতকাল।
এখন কথা হইলো গিয়া, বিলুপ্তির পর তো এই সকল নেতাকর্মী হাপিস হয়া যাবেন না। এরা বেশির ভাগই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাফেতা। সেইখানে তারা বহাল তবিয়তে ধর্মকে ঢাল বানায়া, অপব্যাখ্যা দিয়া তাদের ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালায়া যাবেন। সমস্যা এইখানে। কাজের কথা হইলো গিয়া, এইবার দেশে ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে, রাষ্ট্রধর্ম বিলুপ্ত করতে হবে, কারণ এই দেশটা সবার। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে। তা না হলে এই বিলুপ্তি ফিলুপ্তি কোনো কাজে আসবে না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :