শিরোনাম
◈ ইস্তাম্বু‌লে শা‌ন্তি আ‌লোচনা ব‌্যর্থ হ‌লে আফগানিস্তানের বিরু‌দ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে পাকিস্তান ◈ স্যর ক্রিকে ভারতের যুদ্ধমহড়া,শঙ্কিত পাকিস্তান বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দি‌লো, পাল্টা সেনা সমাবেশের ঘোষণা ◈ আজ রা‌তে বা‌র্সেলোনা - রিয়া‌ল ম‌া‌দ্রিদ মু‌খোমু‌খি  ◈ ২৫ লাখ কোটি টাকার ঋণে ডুবে পাকিস্তান সরকার দিশাহারা, গত অর্থবছ‌রের তুলনায় আরও বাড়ল ইসলামাবাদের ধার ◈ ইং‌লিশ লি‌গে টানা চতুর্থ পরাজয় লিভারপু‌লের, চেলসিকে হারিয়ে সান্ডারল্যান্ডের চমক ◈ মালয়েশিয়ায় পৌঁছেই নাচে মেতে উঠলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ পি‌সি‌বির অদ্ভুত কাণ্ড, টেস্ট দ‌লের বর্তমান অধিনায়ককে বানিয়ে দেওয়া হলো বোর্ড কর্তা ◈ আরপিও শর্তে বিপাকে ছোট দল, ভোট করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে ◈ বিজ্ঞাপনে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প: কানাডার পণ্যে আরও ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়ালো যুক্তরাষ্ট্র ◈ বান্দরবানে রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ০১:১২ দুপুর
আপডেট : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ০১:১২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডা. লেলিন চৌধুরী : ভারত থেকে আসা পলাতক করোনাক্রান্তদের খুঁজে বের করা জরুরি

ডা. লেলিন চৌধুরী : তারা ১১ জন। সবাই পালিয়েছে। ভারত থেকে আসা করোনাক্রান্ত রোগী। যশোরের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলো। সেই হাসপাতাল থেকে সবাই পালিয়েছে। এই রোগীরা কি ভারতীয় ভাইরাস (ডাবল/ট্রিপল মিউট্যান্ট) দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে? উত্তরটি জানা মহা-জরুরি। করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ধরন বা মিউট্যান্ট সাধারণ ভাইরাসের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রমণশীল এবং আগ্রাসী গতিতে রোগ তৈরি করে। এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে রোগীর ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। আক্রান্ত হওয়ার ২-৩ দিনের মধ্যে অধিকাংশ রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থেকে। আমরা জানি ভারতে করোনার প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। হাসপাতালে শয্যা নেই। অক্সিজেনের অভাবে রোগীরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। ভারতের বহু স্থানের বিরাজমান অবস্থা মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে।

বাংলাদেশে ভারতীয় ভাইরাসের প্রবেশ ঘটলে একটি মহাবিপর্যয়কর অবস্থা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য আমাদের সকল ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যা করতে হবে- [১] দ্রæততম সময়ের মধ্যে পালিয়ে যাওয়া রোগীদের সবাইকে খুঁজে বের করে পুলিশি প্রহরায় হাসপাতালে ভর্তি রাখতে হবে। [২] হাসপাতাল থেকে পালানোর পর তাদের সংস্পর্শে যারা এসেছে তাদের সবাইকে শনাক্ত করে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টাইনে রাখা জরুরি। কোয়ারিন্টাইনে থাকা সবাইকে তিনদিন পরপর আরটিপিসিআর টেস্ট করতে হবে। [৩] এগারোজন রোগীর শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনার জিনবিন্যাস বা জিনোম সিকুয়েন্স অতি জরুরিভাবে পরীক্ষা করা অতিআবশ্যক।
[৪] ভারতসীমান্তে অবস্থিত বাংলাদেশের স্থলবন্দরগুলোতে জরুরি পণ্য পরিবহন চলছে। তাই বন্দরগুলোতে স্থানীয় বিধি-নিষেধ আরোপ করা হোক। করোনা-নেগেটিভ সার্টিফিকেট ব্যতীত কেউ বন্দর এলাকা থেকে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবে না। দেশে ভারতীয় ভাইরাসের প্রবেশ আটকানো গেলে করোনার বিরুদ্ধে চলমান প্রতিরোধ লড়াইয়ে আমরা আরো একধাপ সামনে এগিয়ে যেতে পারবো। মনে রাখতে হবে, সময়ের একফোঁড় অসময়ের দশফোঁড়ের চেয়ে বেশি কার্যকর। লেখক : জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়