শিরোনাম
◈ আন্তর্জাতিক বাহিনী আসছে গাজায়, নিয়ন্ত্রণ হারাতে যাচ্ছে হামাস ◈ সমৃদ্ধ গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের পাশে কমনওয়েলথ: ঢাকায় আসছেন মহাসচিব ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপিল বিভাগের রায় আজ ◈ স্নাইপার সাফারি: অর্থের বিনিময় মানুষ গুলি করার ‘খেলা’ চালানোর অভিযোগ উঠেছে তিন দশক পর (ভিডিও) ◈ রামপুরায় টিভি ভবনের সামনে বাসে আগুন (ভিডিও) ◈ নিউইয়র্কে পা রাখলেই গ্রেপ্তার করা হবে নেতানিয়াহুকে: হুঁশিয়ারি জোহরান মামদানির ◈ পল্লবী থানার সামনে পরপর তিন ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে পালালো দুর্বৃত্তরা—আহত ৩ ◈ সাবেক আ.লীগ সরকারের ৩৩২ কোটি টাকায় রোজ গার্ডেন কেনা নিয়ে অনুসন্ধানে দুদক ◈ বাংলাদেশকে বিজনেস ভিসা দেওয়া শুরু করেছে ভারত: প্রণয় ভার্মা ◈ ভোটার কার্ড করেন ৩০ হাজার টাকায়, পাসপোর্ট করতে গিয়ে আটক

প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:১৪ সকাল
আপডেট : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রুমী আহমেদ: ভয় যদি পেতেই হয়, মিউটেশনকে ভয় না করে মাস্কবিহীন মানুষকে ভয় করুন

রুমী আহমেদ: মানুষকে ভয় পাইয়ে দিয়ে মানুষ কী যে মজা পায় আমি বুঝি না। এখন পত্রিকার হেডলাইন আর কিছু বিশেষজ্ঞ তারা দলবেঁধে ভয়াবহ মিউটেশন আসছে, সর্বনাশা ভ্যারিয়েন্ট আসছে, মৃত্যু নিশ্চিত ডাবল মিউটেন্ট, ত্রিপল মিউটেন্ট, দশ ডবল মিউটেন্ট এসব রক্ত হিম করা হেডলাইন আর সোশ্যাল মিডিয়া বক্তিতা দিয়ে মানুষের ত্রাসের বিনিময়ে নিজেদের কাটতি বাড়াতে ব্যস্ত। করোনাভাইরাস সিজন শেষে কিছুটা মিউটেশন হয় সিজনে সিজনে হয়, গাছে যেমন পাতা পরে, নতুন পাতা গজায়, সাপ যেমন বছর বছর খোলস বদলায়, সব করোনাভাইরাসই বছর  শেষে মিউটেশন হয়। সে কারণেই হিউমেন করোনাভাইরাসগুলো বছর বছর সংক্রমণ করে এক বছর এর করোনাভাইরাস পরবর্তী বছর প্রটেক্ট করে না, এক বছর এর এন্টিবডি নতুন বছরের নতুন ভ্যারিয়েন্টকে পুরোপুরি প্রিভেন্ট করতে পারে না। কিন্তু এন্টিবডি আমাদের ইম্মিউন সিস্টেমের একটা ফুট সোলজার মাত্র আমাদের ইম্মিউন সিস্টেমের বড় বড় কামান হচ্ছে টি-সেল। একবার ইনফেকশন হলেই একবার ভ্যাকসিন নিলেই মেমোরি টি-সেল-রেডি হয়ে যায়। ওই টি-সেল এসে ফাইট করে নতুন ভ্যারিয়েন্ট এর ভাইরাসকে সিরিয়াস ইনফেকশন করা থেকে বিরত রাখে।

এন্টিবডির ক্ষমতা খুব কম, একটা এপিটোপ কে রিকোগনাইজ করে একটু মিউটেশন হলেই আর বুঝে উঠতে পারে না। কিন্তু এই টি-সেল প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী। ধরুন ই ১.৬১৭ ডাবল মিউটেন্ট এর দুটো জায়গায় মিউটেশন আছে, ই. ১. ৬১৮ ( বেঙ্গল স্ট্রেইন) এর তিনটা জায়গায় মিউটেশন আছে। তাতে কী হয়েছে। সিডি ৮টি -সেল করোনাভাউরাস স্পাইক প্রোটিনের ৫২টা সাইটকে রিকগনাইজ করে আর সিডি ৪টি-সেল ২৩টা এপিটোপ/সাইট রিকগনাইজ করে। দু-তিনটা মিউটেশন এই টি-সেল এর কাছে কিছুই না। ঠিকই খুঁজে বের করবে আর আর একটা দুইটা ভাইরাস ধরে সকাল বিকাল নাস্তা করার মতো। যতো নতুন ভ্যারিয়েন্ট হোক ধরে ধরে ধ্বংস করবে। আর একটা কথা এখন পর্যন্ত যে কটা ভ্যারিয়েন্ট এসেছে সিরিয়াস অসুখ প্রিভেনশন এ প্রতিটি ভ্যাকসিনই প্রতিটি নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকরী। ঝরা পাতার মতো পুরনো মিউটেশন ঝরে পড়বে। বসন্তের নতুন পাতার মতো বছর ওয়ারী নতুন মিউটেশন আসবে D614G মিউটেশন এসেছিলো গত সামারে ও অল্প সময়ে পুরো পৃথিবী ডমিনেট করেছিলো। কি হয়েছে? এখন মূল উহান ভ্যারিয়েন্টও আর নেই, D-614G ভ্যারিয়েন্টও নেই। মিউটেশন আসবে যাবে কিন্তু এ নিয়ে মানুষ যাতে আপনাকে অহেতুক ভয় না দেখা। ভয় যদি পেতেই হয় মিউটেশনকে ভয় না করে মাস্কবিহীন মানুষকে ভয় করুন, সোহাগ বা অন্যান্য কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠানকে ভয় করুন, বসুন্ধরা বা গাউসিয়া মার্কেট কে ভয় করুন, ঈদের গাদাগাদি ভিড়ের বাস ট্রেইন কে ভয় করুন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়