জাহিদুল কবির: যশোরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আজিজুল হক সবুজ (৫০) নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) আটক করা হয়েছে। ৯৯৯ এ কল করার পর পুলিশ বাড়িতে গিয়ে সবুজকে আটক করে।
রোববার (২৫ এপ্রিল) ভোর রাতে শহরের বারান্দীপাড়ার হাফিজিয়া মাদ্রাসা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তার সাবেক স্ত্রী বারান্দীপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। তিনিই মামলাটি করেছেন।
আজিজুল হক সবুজ সাতক্ষীরা তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার সুরুরিয়া গ্রামের আনোয়ারুল হকের ছেলে। তিনি বর্তমানে যশোর সদরের রঘুরামপুরে বসবাস করেন। তিনি ঢাকা এপিবিএন থেকে সম্প্রতি খুলনা রেঞ্জে বদলী হয়েছেন।
মামলায় তার সাবেক স্ত্রী উল্লেখ করা করেছেন, ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর আজিজুল হক সবুজের সাথে তার বিয়ে হয়। আজিজুলের আগেও তিনটি বিয়ে ছিল। চাকরির সুবাদে আজিজ কর্মস্থলে থাকতেন। মাঝে মাঝে যশোরে বাদীর বাড়িতে আসতেন এবং তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করতেন।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, ‘আজিজুল ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সাতক্ষীরায় লাবনী নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন। এরপর ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আমাকে তালাক দেয়। ২৪ এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে আজিজ আমার ঘরের দরজা টোকা মারে। আমি দরজা খোলামাত্র সে ঘরের ভেতর ঢুকেই ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। ওই সময় সে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। আজিজ বাথরুমে ঢোকার পর ৯৯৯ নাম্বারে কল করলে কোতয়ালি থানা পুলিশ এসে উদ্ধার করে এবং সবুজকে আটক করে।
কোতয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর সঙ্গে পুলিশের এসআই আজিজুল হক সবুজ শারীরিক সম্পর্ক করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কোন নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক হলে সেটা আইনানুযায়ী ধর্ষণ বলে গণ্য হয়।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘ভোররাতে হটলাইন ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে আমরা দুইজনকে থানায় নিয়ে আসি। কিন্তু মামলার বাদি মামলা করতে রাজি ছিল না। তিনি আর্থিক সুবিধা নিয়ে আপস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধর্ষণের অভিযোগ পুলিশ আপস করতে পারে না। সে কারণে মামলা রেকর্ড করতে হয়েছে।’
তবে স্থানীয়রা বলেছেন, ওই নারীর আগেও তিনবার বিয়ে হয়। একজন রড ব্যবসায়ীকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেও সুবিধাবাদী। এসআই এর কাছ থেকে সুবিধা আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে মামলা করেছে।