লিহান লিমা: [২] শনিবার পর্যন্ত বিশ্বের ২০৭টি দেশ ও অঞ্চলে ১’শ কোটি ২৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪০ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। বিশ্বে দেয়া এই মোট টিকার ডোজের মধ্যে ৫৮ শতাংশই দেয়া হয়েছে উচ্চ আয়ের তিন দেশ-যুক্তরাষ্ট্র (২৫ কোটি ৬০ লাখ ), চীন ( ২১ কোটি ৬১ লাখ) ও ভারতে ( ১৩ কোটি ৮৪ লাখ। আল জাজিরা
[৩]তবে জনসংখ্যার হারের ভিত্তিতে টিকাদানে শীর্ষে রয়েছে ইসরায়েল, দেশটিতে প্রতি ১০জনের মধ্যে ৬জন টিকা নিয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমিরাত, আমিরাতের মোট জনসংখ্যার ৫১ শতাংশের বেশি কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নিয়েছেন। যুক্তরাজ্যে ৪৯ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ৪২ শতাংশ চিলিতে ৪১ শতাংশ, বাহরাইনে ৩৮ শতাংশ ও উরুগুয়েতে মোট জনসংখ্যার ৩২শতাংশ মানুষ টিকা গ্রহণ করেছেন। ইউরোপিয় ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যার ২১ শতাংশ টিকা নিয়েছেন।
[৪] বিশ্বব্যাংক বলেছে, এখন পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচীর সিংহভাগ সুবিধা ভোগ করছে ধনী দেশগুলো। বিশ্বের মাত্র ১৬ শতাংশ জনগোষ্ঠির বসবাসসম্পন্ন উচ্চ আয়ের দেশগুলো ৪৭শতাংশ ডোজ টিকা দিয়েছে। অন্যদিকে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে টিকাদানের হার মাত্র ০.২ শতাংশ।
[৫]কোভ্যাক্স উদ্যোগের আওতায় দরিদ্র দেশগুলো টিকাদান কর্মসূচী শুরু করলেও তারা ধনী দেশগুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ধনী দেশগুলোর চারজনের মধ্যে একজন করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন, অন্যদিকে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে টিকা পেয়েছেন প্রতি ৫’শ জনের মধ্যে একজন। এখন পর্যন্ত ১২টি দেশ টিকাদান শুরুই করতে পারে নি, এর মধ্যে ৭টি দেশই আফ্রিকার।
[৬]বিশ্বে দেয়া মোট টিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজ। ১৫৬টি দেশে এই সংস্থার টিকা দেয়া হচ্ছে। ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা কার্যক্রম চলছে ৯১টি দেশে। মর্ডানার টিকা দেয়া হচ্ছে ৪৬টি দেশে। ৪১টি দেশে সিনোফার্ম, ৩২টি দেশে স্পুটনিক-ভি ও ২১টি দেশে সিনোভ্যাকের টিকা দেয়া হচ্ছে।
