শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৩৮ বিকাল
আপডেট : ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৩৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনায় রপ্তানি নেতিবাচক হলেও ছোট কিছু পণ্য রপ্তানিতে রেকর্ড

বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] করোনায় দেশের বেশিরভাগ পণ্যের রপ্তানি নেতিবাচক হলেও কিছু পণ্যের রফতানি আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি হয়েছে। এরমধ্যে পাটজাত, কেমিক্যাল, নীটওয়্যার, চিংড়ি, হোম টেক্সটাইল, কাট ফ্লাওয়ার, তামাক ও ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য অন্যতম।

[৩] বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ি, ২০১৯-২০ সালে জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট রপ্তানি হয়েছিল ২৭ হাজার কোটি টাকার পণ্য। ২০২০ সালে একই সময়ের জানুয়ারি মাসে রপ্তানি কমে ২৩ হাজার কোটি টাকা হয়। তবে ২০২০-২১ সালের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি কিছুটা বেড়ে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা হয়। কিন্তু এটি ২০১৯ সালের চেয়ে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা কম। রপ্তানি কমের যাওয়ার মধ্যেও চিংড়ি রপ্তানি বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। সার্বিকভাবে মাছ রপ্তানি কমেছে ১০ শতাংশ। ২০১৯-২০ সালের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চিংড়ি রপ্তানি হয়েছিল৬২ কোটি টাকার। কিন্তু ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৯০ কোটি টাকা। এই হিসাবে করোনাকালীন চিংড়ি রপ্তানি বেড়েছে ৪৪ শতাংশ।

[৪] রপ্তানি পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে কাট ফ্লাওয়ার। এই পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পয়েছে ২৫০ শতাংশ। ২০১৯-২০ সালের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাট ফ্লাওয়ার রপ্তানি হয়েছিল ২ লাখ টাকার। কিন্তু ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফুল রপ্তানি হয়েছে ৭ লাখ টাকার। এরপরেই রপ্তানি বেড়েছে হোম টেক্সটাইলের। ২০১৯-২০ সালে হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি ছিল ৫২৭ কোটি টাকার। কিন্তু ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি হয়েছে ৭৩১ কোটি ডলারের পণ্য। এই হিসাবে হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি বেড়েছে ৩৯ শতাংশ।

[৫] এ ছাড়াও গার্মেন্ট রপ্তানির মধ্যে নীটওয়্যারের রপ্তানি বেড়েছে ৫ শতাংশ। ২০১৯-২০ সালে নীটওয়্যারের রপ্তানি ছিল ১১ হাজার কোটি টাকার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার। করোনা সময়ে কেমিক্যাল পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ২২ শতাংশ। তামাক পন্য রপতানি বেড়েছে ৩ শতাংশ। ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৫৭ শতাংশ।

[৬] এ বিষয়ে বিকেএমইএর সহ সভাপতি মোহম্মদ হাতেম বলেন, ইউরোপে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের দিকে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। এই সময়ে তারা নিম্ন মূল্যের কিছু কাপড় ক্রয় করে। বিশেষ করে আন্ডার গার্মেন্ট, টি শার্ট, এই ধরনের বিভিন্ন নীট পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এই কারণে ফেব্রুয়ারিতে নীটপণ্যের কিছুটা রপ্তানি বাড়ে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির পরে অবস্থা কিন্তু ভাল নয়। এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে আবারো রপ্তানি কমবে বলে তিনি মনে করেন।

[৭] অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান বলেন, দেশের ৮৫ ভাগ রপ্তানি হলো গার্মেন্ট পণ্য। অন্যান্য কিছু অপ্রচলিত পণ্যের রপ্তানি বাড়লেও এটি তেমন উল্লেখ করার মতো নয়। চিংড়ি রপ্তানি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ চীনে করোনার প্রকোপ কমে যাওয়া। দেশের বেশিরভাগ চিংড়িই রপ্তানি হয় চীনে। তিনি মনে করেন দেশের রপ্তানিকে টেকসই করতে হলে শুধু গার্মেন্ট নির্ভর রপ্তানি থাকলে হবে না। রপ্তানির বৈচিত্র থাকা দরকার। করোনার সময়ে ছোট ছোট পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি আমাদের এই বিষয়টিই মনে করিয়ে দিয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়