সোহাগ হাসান: [২] সদর উপজেলায় আতিকুর রহমান ওরফে আলহাজ্ব মন্ডল হত্যা মামলার আসামীরা জামিন পেয়েই বাদী পক্ষকে মারপিট প্রাণনাশের হুমকি ও বাড়ীতে হামলা চালিয়েছে। হামলায় বাদী পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিল্লাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
[৩] শনিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলার শিমুলতলা এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
[৪] আহতরা হলেন, নিহতের স্ত্রী মিলি বেগম (৩২), ছেলে মারুফ হোসেন (১৪), শামসুল আলম উজ্জল (৩০), নিহতের মা ছালেহা বেগম (৫৫)।
[৫] আহত শামসুল আলম উজ্জল বলেন, করম আলীর ছেলে আল-আমিন ও রিপন, মেয়ে লাবনী, নাজমা বেগম, রমজান আলী মন্ডলের ছেলে আব্দুর রশিদ, তার ছেলে রুবেল, পরি, রকি ও রাকিবসহ জমিন পাওয়ার পর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মামলাটি তুলে নিতে আমাদের মারপিট ও বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় আমার মা, ভাবী, ভাতিজা ও আমাকে লোহার রড দিয়ে মারপিট করে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়।
[৬] সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, জোয়ালভাঙ্গা গ্রামের জয়নাল আবেদীন ও ওয়াজেদ আলী গংয়ের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধে আতিকুর রহমান নামের একজন নিহত হয়। সেই মামলার আসামীরা জামিন পেয়েই বাদীর বাড়িতে শনিবার সকালে হামলা ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। পরে খবর পয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
[৭] উল্লেখ্য, সদর উপজেলার জোয়ালভাঙ্গা গ্রামের জয়নাল আবেদীন ও ওয়াজেদ আলী গংয়ের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে গত ১১ অক্টোবর ২০২০ সালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আতিকুর রহমান নামের একজন নিহত হয়।
[৬] এঘটনায় ১১ অক্টোবর রাতে জয়নাল আবেদীন মন্ডল বাদি হয়ে একটি ১১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে। সম্পাদনা: জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :