নাঈমুল ইসলাম খান: [২] সংবাদপত্র করার কাজটিকে অনেকটা মেহমানদারির অনুরূপ মনে হয়।
[৩] অতিথি আপ্যায়নে আমরা রুটিন পরিহার করে বিশিষ্টতায় আগ্রহী হই।
[৪] অতিথি আপ্যায়নের দিনে আমরা ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি করে গোছাই।
[৫] খাবার তৈরিতে বিশেষ বিশেষ পছন্দের কয়েকটি আইটেম তৈরি করার চেষ্টা করি।
[৬] খাবার পরিবেশনের জন্য ঘরের সেরা থালা-বাটিগুলো বের করে ব্যবহার করি।
[৭] বাটিতে কিংবা পাতে পরিবেশন করি সুচারুভাবে, রুচিশীলভাবে।
[৮] নিজের তৈরি সেরা আইটেম বিশেষ করে, দৃষ্টিনন্দন ও চোখে পড়ার মতো করে উপস্থাপন করি। সহজভাবে খেতে পারা অর্থাৎ আরামে গ্রহণ করতে পারবে তেমনটা লক্ষ্য রাখি।
[৯] অতিথি আপ্যায়নের সময় আমরা প্রধানত পরস্পরের ভালো খবর, সাফল্য ইত্যাদি নিয়ে কথা বলি। পারস্পরিক শোক-দুঃখ, কষ্টের কথাও বাদ যায় না।
[১০] সচরাচর পরনিন্দা এড়িয়ে যাওয়ারই চেষ্টা করা হয়। তবে মাঝে মধ্যে পরচর্চা চলে আসে বটে।
[১১] নিজ বাড়িতে হলেও, পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি পোশাক-আশাক পরিধানও মেহমানদারি বা অতিথি আপ্যায়নের একটি প্রতিষ্ঠিত চর্চা।
[১২] মেহমানের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণভাবে পরিশীলিত ভাষায় মার্জিত ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের চেষ্টা করি।
[১৩] সব মিলিয়ে অতিথি আপ্যায়নের সময়টায় পুরো পরিবার সমষ্টিগত ও সমুন্নতভাবে উপস্থাপিত হই এবং আপ্যায়নের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গোছানো থাকি।
[১৪] বিশেষ করে অতিথি আপ্যায়নের সময় আমরা কথা, আচরণ সব কিছুতেই ত্রুটিমুক্ত থাকতে সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকি।
[১৫] অতিথির সঙ্গে কাটানো সময়টা আমরা অনবদ্য জমজমাট ও আকর্ষণীয় করে রাখার জন্য সর্ব রকমের প্রয়াসি হই। অতিথির সঙ্গে কাটানো সময়টায় পরিবেশটাকে অনবদ্য জমজমাট ও আকর্ষণীয় করে রাখার জন্য সর্ব রকমে প্রয়াসি থাকি আমরা।
[১৬] দাওয়াতে/আপ্যায়নের ক্ষেত্রে যেমন মেহমান, সংবাদপত্রের বেলায় সেটি গ্রাহক/পাঠক। সংবাদপত্র বানায় যারা, তারা মেজবান। সংবাদপত্র হচ্ছে দৈনিক মেজবানি।