ডেস্ক নিউজ: শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে উপজেলার গারো পাহাড় সীমান্ত এলাকায় বোরো ফসল রক্ষায় বন্যহাতির আতঙ্কে গত তিন দিন ধরে মশাল জ্বালিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) ভোর রাতেও উপজেলার ডালুকোনা সীমান্ত পাহাড়ের টিলা থেকে একদল বন্যহাতি হামলা করে পাকা ধান খেতে।
সন্ধ্যা হলেই বোরো ফসল রক্ষায় এলাকাবাসী হাতি তাড়াতে মশাল জ্বালিয়ে নিজের জমিতে অবস্থান করেন।
এলাকাবাসী জানান, বর্তমানে পাহাড়ের সমতলে বোরো ধান পাকা শুরু হয়েছে। প্রতিবছরই ধান ও কাঁঠাল পাকার মৌসুমে হাতির পালটি সন্ধ্যার দিকে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসে।
গত মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ২০-২৫টি বন্যহাতির পাল উপজেলার আন্ধারুপাড়া গ্রামের ডালুকোনা এলাকার পাহাড়ি সমতল ভূমির ধান ক্ষেতে নেমে আসে। এলাকাবাসী মশাল জ্বালিয়ে পটকা ফুটিয়ে হৈ হুল্লোর করে হাতি তাড়িয়ে দেয়।
দিনের বেলা হাতিগুলো সীমান্তের শুন্য রেখায় জঙ্গলে অবস্থান করে সন্ধ্যা হলেই সমতলে ধান খেতে নেমে আসে। কয়েকদিনে হাতি ধান খেতে না পাড়লেও আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন, শাহাব উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন ও হাসু মিয়ার ধান ক্ষেত মাড়িয়ে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
পোড়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বন্ধনা চাম্বু গং বলেন, তিন দিন ধরে আমাদের ঘুম নাই। সন্ধ্যা হলে ফসল রক্ষার জন্য লোকজন নিয়ে মশাল জ্বালিয়ে ক্ষেতেই রাত কাটাই। ধান পাকলেই প্রতিবছর বন্যহাতির হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে আমগর এভাবেই পাহাড়া দিতে হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেলেনা পারভীন বলেন, খবর পেয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। মশাল জ্বালাতে ৫১ জন কৃষককে পাঁচ লিটার করে কেরোসিন তেল দিয়ে আসছি। বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকাও করা হচ্ছে। সূত্র: বাংলা নিউজ২৪.কম, ডিবিসি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :