লিহান লিমা: [২] শনিবার মিয়ানমার ইস্যুতে বিশেষ আলোচনায় বসতে যাচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয় ১০টি দেশের সংগঠন আসিয়ান। এই বৈঠককে সংস্থাটির ৫৪ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কৌশলি ও ভবিষ্যত নির্ধারণি বলে মন্তব্য করেছেন কূটনৈতিকরা। সম্মেলনে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লিয়াংকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে যা তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে। সিএনএ
[৩] হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক প্রধান ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতার জন্য আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন জেনারেল হ্লিয়াং। তাকে এই আঞ্চলিক সমাবেশে স্বাগত জানানো উচিত নয়। আসিয়ান দেশগুলোর উচিত এই বৈঠককে জান্তা সরকারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞারোপ, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে চাপ প্রয়োগ এবং মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ফেরাতে ব্যবহার করা।’
[৪] অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চালু করতে আসিয়ানকে আহ্বান জানিয়েছে।
[৫] ফর্টিফাই রাইটস বলছে, সামরিক শাসককে আমন্ত্রণ করে এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিয়ানমারের বেসামরিক নেতাদের অগ্রাহ্য করে আসিয়ান ইতোমধ্যেই অবৈধ ও নৃশংস জান্তা সরকারকে বৈধতা দিয়েছে।
[৬] মিয়ানমারের বেসামরিক ছায়া সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গর্ভমেন্ট (এনইউজি) এর প্রধান ড.সাশা বলেন, ‘আসিয়ানের উচিত মিয়ানারের জনগণের কান্না শোনা ও এনইউজিকে সমর্থন দেয়া।’ আল জাজিরা
[৭]আসিয়ানের নীতিমালায় সদস্যদেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে আসিয়ানের নীতি থাকায় সংস্থাটি মিয়ানমার ইস্যুতে কি পদক্ষেপ নিতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ও ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে যোগ না দেয়ার কথা জানিয়ে বলেছেন, তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রেরণ করবেন। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর বলেছে, তারা এই বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার আনা প্রস্তাবকে সমর্থন দেবে।