রাশিদুল ইসলাম : [৩] পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে টিকা উৎপাদন ও সংরক্ষণের ব্যাপারে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মত হয়েছে।
[৪] রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের কোন কোন কোম্পানি স্পুটনিক ভি টিকা উৎপাদন করবে তা দেশটি নির্ধারণ করবে। অর্থাৎ রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরা এসে বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা যাচাই করবে। বেক্সিমকো, স্কয়ার, অরিয়নের মত কোম্পানিগুলো তারা ঘুরেফিরে টিকা উৎপাদনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
[৫] পররাষ্ট্রমন্ত্রী এও বলেন ভারত বাংলাদেশকে টিকা দেবে না তা এখনো বলেনি। আমরা ভারতীয় টিকার অপেক্ষায় আছি।
[৬] পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন আগে চীন ও রাশিয়ার টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে দেশীয় বিশেষজ্ঞরা বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদনের শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন। যে কারণে নেয়া যায়নি।
[৭] ড. মোমেন বলেন, বিশ্বব্যাপী বিপুল চাহিদার প্রেক্ষিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ভ্যাকসিনটি রফতানি করার মতো পর্যাপ্ত উৎপাদন সক্ষমতা না থাকায় মস্কো বাংলাদেশে ভ্যাকসিনটি উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে- এটা তুলনামূলক সাশ্রয়ী হবে এবং আশা করা যায় যে, এটা অপেক্ষাকৃত ভালো হবে।
[৮] এদিকে অক্সফোর্ডের তিন কোটি ডোজ টিকা আনতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে গত বছরের পাঁচ নভেম্বর যে চুক্তি হয়েছিল তাতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে তিন কোটি ডোজ টিকা রফতানি করবে। সে অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মার্চ ও এপ্রিলে বাংলাদেশ সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টিকা পায়নি।
[৯] এ অবস্থায় দেশে টিকার যে মজুত রয়েছে, তা সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের চেষ্টা শুরুর পর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে কোভিড টিকা সংরক্ষণাগার নির্মাণে চীনের প্রস্তাবে সম্মত হয় বাংলাদেশ।
[১০] অন্যদিকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা এনডিটিভিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তারা আপাতত ভারতের চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই আগামী জুন-জুলাইয়ের আগে টিকা রফতানি করতে পারছেন না।
আপনার মতামত লিখুন :