শিরোনাম
◈ অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া? বিএনপি–জামায়াতের মধ্যে আলোচনা উদ্যোগ ◈ আজ ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস ◈ ভয়ানক অভিযোগ জাহানারার, তোলপাড় ক্রিকেটাঙ্গন (ভিডিও) ◈ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও সময়মতো জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান বিএনপির স্থায়ী কমিটির ◈ কমিশনের মোট ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা, আপ্যায়ন বাবদ ব্যয়  ৪৫ লাখ টাকা ◈ ভার‌তের কা‌ছে পাত্তাই পে‌লো না অস্ট্রেলিয়া, ম‌্যাচ হার‌লো ৪২ রা‌নে ◈ শুল্ক চুক্তির অধীনে মা‌র্কিন উ‌ড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কিনছে বাংলাদেশ ◈ টিটিপাড়ায় ৬ লেনের আন্ডারপাস, গাড়ি চলাচল শুরু শিগগিরই (ভিডিও) ◈ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বার্তা ◈ ভালোবাসার টানে মালিকের সঙ্গে ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির!

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:২১ রাত
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৫৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেখ আদনান ফাহাদ: রিকশা উল্টে দেওয়ার অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক, রিকশার চালকদের আর্থিক জরিমানা করা বন্ধ হোক

শেখ আদনান ফাহাদ: বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো গরিব মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, রিকশাচালক, ভ্যানচালক এবং এ জাতীয় শ্রমিকদের জীবনে তেমন একটা পরিবর্তন আসেনি। একজন রিকশাচালক দেখাতে পারবেন না, যিনি রিকশা চালাতে চালাতে কোটিপতি হয়ে গেছেন কিংবা রিকশাচালক থেকে বড় শিল্পপতি হয়েছেন। অথচ ব্যাংক লুট করে, ঘুষ খেয়ে, সুদ খেয়ে, টেন্ডারবাজি করে, চোরাকারবারি করে বহু শিক্ষিত লোক এদেশে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। একজন রিকশাওয়ালা ঢাকা শহরে যানজটের জন্য আংশিক দায়ী হলেও তার দারিদ্র্যের জন্য আমরা দায়ী। আমরা মানে রাজনীতিবিদ, আমলা, পুলিশ, আর্মি, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক সবাই দায়ী। আমরা তাদের মুক্তির পথ বের করে দিতে পারিনি। সবচেয়ে বেশি দায়ী বঙ্গবন্ধুর খুনিরা। বঙ্গবন্ধুর সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি কায়েম হলেই কেবল গরিব মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক পরিবর্তন এবং মুক্তি আসতো। একটা দুর্নীতিগ্রস্ত পুঁজিবাদী সমাজ বৈষম্যমুক্ত হতে পারবে না জীবনেও। আমিসহ আমরা সবাই শুধু নিজের সুবিধা বাড়াচ্ছি। কেউ ছাড় দিচ্ছি না। শুধু নিজের সুবিধাই আমরা ভাবছি।

ঢাকার মেয়র, পুলিশ কমিশনার, ঢাকার এমপিরা, ঢাকার হাজার কিংবা শত কোটি টাকার মালিকগণের উচিত রিকশাওয়ালাদের মতো গরিব মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য কাল সকাল থেকেই সচেষ্ট হওয়া। গরিব মানুষের কান্নার অভিশাপ মারাত্মক। তারা বদদোয়া দিলে ধ্বংস আসন্ন। লকডাউন কি শুধু এই রিকশাওয়ালাদের জন্য? রাস্তায় বের হলেই দেখা যায় এক মোটরসাইকেলে ২/৩/৪ জন ছেলে- মেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু বাতাস খাওয়ার জন্য। ধানমণ্ডির অলিগলিতে আড্ডা হচ্ছে। বড়লোকের ছেলে-মেয়েরা জোরে জোরে গাড়ি চালাচ্ছে। একটা প্রাইভেটকার উল্টে রাখা হয়েছে এমন কোনো দৃশ্য আজ পর্যন্ত দেখলাম না।

রিকশাওয়ালার চেহারার দিকে তাকালে কি আমাদের একটুও অনুতাপ হয় না? কতো দূর থেকে তারা আসে এই শহরে? কতো কষ্ট করে থাকে। কী খায়? কই থাকে আমরা কোনোদিন জিজ্ঞেসও করি না। পুলিশ অনেক পরিশ্রম করে সারাদিন। পুলিশের পক্ষে আমরা লিখি। বাংলাদেশ পুলিশ ইচ্ছে করলেই কাল থেকে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। মেয়রগণ করতে পারেন। ইফতারের সময় পুলিশ থেকে রিকশাওয়ালাদের ইফতার করাতে পারেন। শরবত খাওয়াতে পারেন। রিকশা উল্টে দেওয়ার অপসংস্কৃতি বন্ধ হোক। রিকশার চালকদের আর্থিক জরিমানা করা বন্ধ হোক। রিকশাওয়ালাদের অন্য কোনো অর্থকড়ি কাজে পুনর্বাসনকল্পে দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প নিক সরকার। গরিব মানুষ যদি স্বাধীনতার মজা না পায় তাহলে এই স্বাধীনতা ব্যর্থ। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়