গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ: অভিজ্ঞতালব্ধ পরীক্ষায় প্রমাণিত না হলে সেই তত্ত্ব সঠিক নয় বলে বিজ্ঞান দাবি করে। ফরহাদ মজহার তালেবানদের জিহাদকে যে শ্রেণি সংগ্রাম বলেছিলেন, গত বিশ বছরের ঘটনাপ্রবাহে তার বাস্তব প্রমাণ কিন্তু আমরা পাইনি। বামিয়ানের বুদ্ধ মূর্তি ভাঙার সাফাই গেয়ে প্রথম আলোতে তালেবানদের পক্ষে লিখেছিলেন নৃবিজ্ঞানের শিক্ষক মানস চৌধুরী। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার গ্লোবাল যুদ্ধের অনেকরকম পাঠ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ফরহাদ মজহারদের পাঠটা ফ্যাক্টস, ডকুমেন্টস ও ইতিহাসের ভিত্তিতে না। তথাকথিত জিহাদীদের শ্রেণী সংগ্রামী বানিয়ে একটি রাজনৈতিক প্রকল্প নিয়ে এগিয়েছেন তারা। মৌলবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে সক্রিয় বামপন্থীদের কনফিউজড করে দিতে পেরছেন মজহাররা।
বামপন্থীদের প্রভাব জনমানসে না থাকলেও জনমত গঠনকারী একটা অংশে ছিলো। যেমন ধরুন, মিডিয়া কিংবা ইনফরমাল থিংক ট্যাংকে। গত দশ বছরে সেটা বিলীন করে দিতে সক্ষম হয়েছে মজহারীয়রা। বিস্তারিত আর লিখছি না। হেফাজতকে দিয়ে বিপ্লব করার খোয়াব দেখেছিলেন যারা তারা মন্ত্রীর বাড়িতে তাদের ধর্ণার দৃশ্য দেখেছেন না? শাহী খানাপিনা, ওয়াজের নামে রঙ্গতামাশার মজলিশ বসানো ও মানবিক বিয়ে করাই এদের কাজ। এদের কেউ সাব অল্টার্ন মনে করে না। আপনারা মনে মনে মনকলা খেয়ে তরুণদের আর বিভ্রান্ত কইরেন না। তত্ত্ব যেহেতু প্রমাণিত হয়নি সেহেতু ক্ষ্যামা দেন। ফেসবুক থেকে