শিরোনাম
◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনা ‘মানুষের ঈদের দিন’: আপিল বিভাগের রায়ে জয়নুল আবেদীনের প্রতিক্রিয়া ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল নিয়ে যা বললেন আমীর খসরু ◈ পা‌কিস্তান ক্রিকেট বোর্ড থে‌কে স‌রে দাঁড়া‌লে আজহার আলি ◈ ‘শিবির’ মন্তব্য ভাইরাল: ধানমন্ডি ৩২-এর ঘটনার ব্যাখ্যায় সমালোচনার মুখে এডিসি মাসুদ আলম ◈ ‘অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ক্ষতি সবার’, ককটেল হামলার পর কঠোর বার্তা ডিএমপি কমিশনারের ◈ কুমিল্লায় টাউন হল মাঠে বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশ ডাকায় উত্তেজনা, প্রশাসনের নির্দেশ—না সরালে ১৪৪ ধারা ◈ ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্বে সৎ ও নিরপেক্ষ ওসি খুঁজছে পুলিশ সদর দপ্তর ◈ ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহকারী পোল্যান্ডের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিস্ফোরক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ্যে ◈ যেভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার শুরু ◈ নির্বাচ‌নের পর নতুন সরকা‌রে শেখ হাসিনা ইস্যুতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে কতটা প্রভাব ফেলবে?

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৪১ সকাল
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৪১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ: দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যর্থই বলা চলে, না হলে বিএসএমএমইউ’র এসোশিয়েট প্রফেসর কীভাবে পুলিশকে এই বলে গালি দেন, ‘তুই মেডিকেলে চান্স পাস নাই বলে পুলিশ হইছিস?’

গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ: উচ্চশিক্ষার একটা বড় বৈশিষ্ট্য উচ্চ নৈতিকতা ধারণ করা। সেই হিসেবে আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষা মোটামুটি ব্যর্থই বলা চলে। না হলে বিএসএমএমইউ’র এসোশিয়েট প্রফেসর কীভাবে পুলিশকে এই বলে গালি দেন, তুই মেডিকেলে চান্স পাস নাই বলে পুলিশ হইছিস? এই বর্ণবাদী মন তৈরি করেছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। আমরা দেখতাম, নবম শ্রেণিতে ওঠার সময়ই তথাকথিত ভালো শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিভাগ দেওয়া হতো। স্কুলের পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়াদের মানবিকে দেওয়া হতো। উইয়ার্ড একটা পদ্ধতি। বিশ্লেষণ ও উদ্ভাবনী শক্তি পুরোপুরি বিকশিত হওয়ার আগেই শিক্ষার্থীদের সুযোগ সংকুচিত করে দেওয়া। এতো গেলো মেন্টাল ফ্যাকাল্টি ডেভলপ করায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি। বড় যে ক্ষতিটা হয় সেটা হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম মেধাবী ও বেশি মেধাবীর বিন্যাস করে অহম ও হীনমন্যতার দেয়াল তোলা। শিক্ষা জীবন, ক্যারিয়ার ও সমাজ জীবনে প্রচ্ছন্ন এক বর্ণবাদ তখনই জন্ম নেয়।

নব্বইয়ের দশকে প্রশাসন ক্যাডারের বিরুদ্ধে পেশাজীবী ক্যাডার কর্মকর্তারা আন্দোলন শুরু করে। তখন আমার এক সরকারি প্রকৌশলী দুলাভাই আমাকে তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা বোঝাচ্ছিলেন এভাবে, দেখো যারা মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চান্স পায় না তারাই তো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, তাই না? তারা বিসিএস দিয়ে আমাদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে। এটা মানা যায়? মানা যায় কি না তা নিয়ে সেদিনও আমার মনে দ্বন্দ্ব ছিলো। আজও সেই দ্বিধা যায়নি। আমাদের ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাই অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম হয়ে আমাদের ক্লাস নিতে এলেন। ক্লাসে এসে তিনি বললেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে কাক্সিক্ষত চাকরি কি জানো? নিজে থেকেই বললেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার পদে নিয়োগ পাওয়া। তো সেই বড় ভাইদেরই দেখলাম প্রশাসনের কর্তাদের সমমর্যাদার জন্য আন্দোলনে নামতে। আমার এক বন্ধুকে পুলিশ সার্ভিসে জয়েন না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় যোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তো বন্ধু তাদের ওই আন্দোলনের সময় আমাকে সেই পরামর্শের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল। পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট-চিকিৎসক বচসার ঘটনা একটা বড় সমস্যা তুলে ধরলো।

আমাদের পলিসি মেকাররা সেদিকে চোখ দেবেন না জানি। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র ও প্রফেশনালদের এই সমস্ত সমস্যা কাটাতে নীতিনির্ধারকরা ভাবছেন না কেন? চোখ বন্ধ রাখার নীতি সমাজকে অন্ধ করে দিতে পারে। বিশেষ দ্রষ্টব্য : পুলিশ প্রতিদিন মানুষকে নাজেহাল করে। না হয় একজন ডাক্তারের হাতে পুলিশ নাজেহাল হলো, তাতে আকাশ ভেঙে পড়ার কিছু হয়নি! ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়