শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী 

প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ০২:৫১ রাত
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ০২:৫১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিজেকে ফিট রাখবেন যেভাবে রমজান মাসে

আতাউর অপু: রমজান মাসে রোজা, নামাজের দিকে পুরো মনোযোগ দিয়ে শরীরকে ফিট রাখাটা বেশ কঠিন। তারপরেও একটু মনোযোগ দিলে এমন অবস্থা সামলে নেওয়া সম্ভব।

রমজানে সূর্য ওঠা থেকে সূর্য ডুবা পর্যন্ত পানি পান করা থেকে শুরু করে কোনো ধরনের খাবার খাওয়া যায়না। তবে স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য খাবারের ঊর্ধে শরীর চর্চা বা ব্যায়ামের বিকল্প নেই।

একটি সংবাদ মাধ্যম "দ্যা ইনডিপেন্ডেন্ট" এমনই তিন মুসলিম শরীরচর্চার প্রশিক্ষকের কাছে জানতে চেয়েছিলো কীভাবে রমজান মাসে নিজেকে ফিট রাখা যাবে। তারা মূলত আটটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন।

১. নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে:

ইফতার করার পর থেকে সেহরি পর্যন্ত শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এতে করে দিনের বেলায় পানিশূন্যতা হওয়ার প্রবণতা কমে যায়। আর যদি ব্যায়াম করার কথা ভাবেন তাহলে তো অবশ্যই যথেষ্ট পানি পান করতে হবে।

সানি সালিক বলেন, “আমি নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে সাধারণত একটি বড় গ্লাসে অন্তত ৪ গ্লাস পানি পান করি।”

২. নিজের জন্য উপযুক্ত সময়টি খুঁজতে হবে:

প্রত্যেকের এক সময়ে ব্যায়াম করার মতো পরিস্থিতি সাধারণত হয় না। তাই একজনকে অবশ্যই তার একটা নির্দিষ্ট সময় খুঁজে বের করা উচিত যেটা একান্তই তার নিজের জন্য হবে।

এ বিষয়ে সানি সালিক বলনে, “আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্ধ্যায় রোজা ভাঙার পর ব্যায়াম করতে পছন্দ করি, কারণ তখন আমার পানি পান করার সুযোগ থাকে এবং শরীর পানিশূন্য হবার ভয় থাকে না।”

পক্ষান্তরে, উইমেন অনলি পার্সোনাল ট্রেনিং সার্ভিসের স্বত্বাধিকার সৌদ গারিব বলেন, “আমি আমার ব্যায়াম দিনের প্রথম দিকেই করতে পছন্দ করি, এতে করে আমার শরীর আরও বেশি শক্তি সঞ্চয় করে সক্রিয় হয়ে উঠে। রোজা ভাঙার পূর্বে আমি অনেক বেশি দুর্বল হয়ে পরি কিন্তু ইফতার করার আগে ব্যায়াম আমায় অনেক স্ফূর্ত করে দেয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সকালে ব্যায়াম করলে আমি অনেক বেশি আরামে থাকি।”

৩. ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এমন জিমের সদস্য হন:

আপনি যদি জিম করতে পারেন তাহলে আপনার পছন্দের ব্যায়ামের রাস্তাটিকে বন্ধ করার কোনো প্রয়োজন নেই।

জিম নিয়ে সানি সালিক বলেন, “বেশিরভাগ জিমগুলো রাত ১০ টার পরেই বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু রমজান মাসে যদি এমন কোনো জিমের সদস্য হতে পারেন যেটা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে, তাহলে রোজা ভাঙার পর অথবা নিজের সময়মতো শরীরচর্চা করতে পারবেন। আপনি অবশ্যই আপনার ঘরে ব্যায়াম করতে পারবেন কিন্তু নতুন একটা পরিবেশে মন এবং শরীর অল্পতেই জীবন্ত হয়ে ওঠে।”

মহামারির সময় যদিও আমাদের এখন অনেক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, ঘরেই অন্তত নিয়মমেনে ব্যায়াম করা উচিত।

৪. অতিরিক্ত ঘাম ঝরানো থেকে বিরত থাকুন:

আপনি অনেক বেশি ঘাম ঝরানোর মতো ব্যায়ামে অভ্যস্ত হতেই পারেন। কিন্তু কঠিন ব্যায়ামগুলো রমজানে না করাই ভালো।

সৌদ গারিব বলেন, “আমি রমজান মাসে ব্যায়াম অনেক ধীরে করি, এবং সাধারণত শুধু শক্তির পরীক্ষা করি। যেমন, পা দিয়ে করতে পারি অথবা শরীরের উপরিভাগ দিয়ে করতে পারি এমন ব্যায়ামগুলো করার চেষ্টা করি। কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম ঝরে, পিপাসা লাগে এমন ব্যায়াম আমি রমজান মাসে করি না।”

৫. সেহরিতে প্রচুর শর্করা রয়েছে এমন খাবার খেতে হবে:

শর্করার জাতীয় খাবারের মধ্যে ওটস, বাদাম, খেজুর, এবং কলা। এ ধরনের খাবারগুলো সারাদিন শরীরকে চাঙা রাখে।

৬. বিশ্রামের জন্য সময় নির্ধারণ করুন:

ব্যায়ামের মাঝে মাঝে বিশ্রাম করার জন্য সময় নির্ধারণ করতে হবে। এতে করে শরীর হারানো শক্তি ফিরে পাবে। পুনরায় ব্যায়াম করার শক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুমানো একটু কষ্টের হয়ে যায় রমজান মাসে। কারণ সকালে দ্রুত উঠা, আবার রাতে সেহরির জন্য উঠা বেশ কষ্টদায়ক। আর দিনের বেলায় চাইলেও ঘুমানো সম্ভব হয় না।

বিশ্রামের বিষয়ে সৌদ গারিব বলেন, “দিনের বেলায় অল্প একটু ঘুম অনেক জরুরী। আমি সাধারণত ফজরের নামাজ আদায়ের পরে একটু ঘুমিয়ে নেই, তারপরে ৯টায় ব্যায়াম করি।”

অন্যদিকে, সানি সালিক বিকেল ৫ টা থেকে ইফতার করার মুহূর্ত পর্যন্ত ঘুমিয়ে নেন। এতে তিনি অনেক বেশি শক্তি পান।

৭. প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট ব্যায়াম করুন:

৪৫ মিনিটের ব্যায়াম করা অনেকের কাছে কষ্টকর। কিন্তু শরীরের সুস্থতার জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। তাই অল্প সময়ের জন্য হলেও ব্যায়াম করতে হবে।

কোচ নাজিয়া খাতুন বলেন, “শরীরকে একদম বসিয়ে না রেখে কিছু একটা করুন। ইয়োগা করুন অথবা হাঁটুন। যেটাই করতে মন চায় করুন। কিন্তু শরীরকে অলসের মতো মোটেও ফেলে রাখবেন না। এটা আপনার মানসিক শান্তির বিকাশ ঘটাবে। কারণ সারাদিন ঘুমালে শরীর পূর্বের থেকেও বেশি ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত লাগে।”

৮. আপনার পছন্দের খাবার খান:

পছন্দের খাবার খাওয়ার ব্যাপারে নাজিয়া খাতুন বলেন, “নিঃসন্দেহে রমজান মাস ডায়েট করার মাস নয়। আপনার পছন্দের খাবারগুলোকে যদি সঠিক পরিমাপে খান তাহলে আপনি নিজের স্বাস্থ্যে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবেন। রোজা রেখেও আপনার শরীর যথেষ্ট পরিমাণে শক্তি সঞ্চয় করে রেখেছে বলে আপনি অনুভব করবেন।”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়