শাহীন খন্দকার: [২] রাজধানীর মহাখালীর কোভিড১৯ ডেডিকেটেড ১০০০ শয্যার করোনা হাসপাতালের যাত্রা শুরু করেছে। রোববার দুপুরে হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। হাসপাতালটিতে আইসিইউ বেড আছে ১১২টি। এইচডিইউ বেড ২৫০টি।
[৩] এ ছাড়া ১৩৮টি আইসিইউ মানের বেড রয়েছে। এই বেডগুলো কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত। হাসপাতালটিতে জরুরি ওয়ার্ডে ৫০টি বেড রাখা হয়েছে। এই ৫৫০টি বেডের বাইরে আরও ৪৫০টি বেড থাকবে, সেখানে মারাত্মক আক্রান্ত নন এমন রোগীদের রাখা হবে। হাসপাতালটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
[৪] ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির বলেন, সোমবার সকাল ৮টা থেকে এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি শুরু হবে। হাসপাতালটির বিভিন্ন ফ্লোরে এখনও আইসোলেশন ফ্যাসিলিটি নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু কোভিড রোগীর ক্রমবর্ধমান চাপে যেসব ফ্লোরগুলো প্রস্তুত সেগুলোতে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
[৫] এই হাসপাতালটি আর্ম ফোর্সেস ডিভিশনের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে। এখানে সার্বিক সহযোগিতা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মহাখালী কাঁচাবাজারের ছয় তলা বিশিষ্ট এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা ভবনে হাসপাতাল চালু হলো।
[৬] করোনা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হলেও পৃথকভাবে আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব সেবা কার্যক্রমগুলো চলবে। পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের এই হাসপাতালে ১২শর বেশি শয্যা স্থাপনের সক্ষমতা আছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে ৫০০ শয্যা চালু করতে পারবো। বাকী শয্যাগুলো আশা করছি এ মাসের মধ্যেই চালু করতে পারবো। ইতিমধ্যে ১৫০ জন চিকিৎসক হাসপাতালে যোগদান করেছেন, নার্স যোগদান করেছেন ২০০ জন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী যোগদান করেছেন ৩০০ জনের মতো। এছাড়া এই হাসপাতালে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর প্রায় ১৫০ জন চিকিৎসক ও বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ কর্মীরা সহযোগিতা করছে।